ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অবশেষে ফেঁসে গেছেন স্ত্রী মিন্নি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুলাই ১৮ ১৩:১৮:১৪
অবশেষে ফেঁসে গেছেন স্ত্রী মিন্নি

ওই সূত্র ধরেই গত গত সোমবার সকালে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। সেখানে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি মিন্নি। তাই ওইদিনই রাত ৯টায় সংবাদ সম্মেলন করে তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

এরপর তাকে যখন আদালতে হাজির করা হয়, সেখানেও একটি প্রশ্নে আটকে যান তিনি। তখনই বিচারক মিন্নিকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতকে বলেন, ‘মিন্নি এ মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও মামলার ১২ নম্বর আসামি রেজোয়ানুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় গত ১৪ জুলাই আদালতে মিন্নি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’

এ সময় তিনি টিকটক হৃদয়ের স্বীকারোক্তিমূলক সেই জবানবন্দি আদালতে তুলে ধরেন। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে এ মামলার একাধিক অভিযুক্তের সাথে মিন্নির কথোপকথনের প্রামাণাদি আদালতে তুলে ধরার পাশাপাশি মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে বলেও আদালতে অবহিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এদিকে মিন্নির রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, ‘মিন্নির শুনানির সময় আদালতে রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে আদালত মিন্নির সাথে কথা বলেন। আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কি না? এবং আপনার কোনো কিছু বলার আছে কি না? আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্নি বলেন, আমি নির্দোষ। আমি রিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নই। আমি আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

এ সময় সঞ্জীব দাস আরও বলেন, ‘আদালত রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সাথে হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে মোবাইলফোনে কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নি চুপ হয়ে যান এবং আদালতের এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’ এরপর আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে