ঢাকা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১

দাফন শেষ হতে না হতে শুরু হয়ে গেল এরশাদের সম্পত্তি বণ্টন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুলাই ১৬ ২১:০৪:১০
দাফন শেষ হতে না হতে শুরু হয়ে গেল এরশাদের সম্পত্তি বণ্টন

অন্যদিকে বিদিশার সংসারে জন্ম নেয় এরিক এরশাদ। এরশাদের সঙ্গে বিদিশার বিচ্ছেদ হয় ২০০৫ সালে। এরিকের বয়স এখন ১৮। এরিক রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাবা এরশাদের সঙ্গে থাকতেন। এরশাদ-বিদিশার বিচ্ছেদের পর এরিকের দায়িত্ব নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের রায়ে এরিকের দায়িত্ব পান এরশাদ। এরশাদের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান এরিক।

এদিকে এরশাদের দত্তক সন্তান আরমান এরশাদ ও জেবিন এরশাদ। এরশাদ তার আত্মজীবনী ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ গ্রন্থে এই ৩ ছেলে ও ১ কন্যার কথা উল্লেখ করেন। জাপার চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর এখন এরাই তার উত্তরাধিকার।

আরমান এরশাদ বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকেন। বিয়ের পর জেবিন পরিবার নিয়ে লন্ডনে থাকেন।

এদিকে কিছু দিন আগে ৫ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে এরশাদ তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সেখানে লিখিতভাবে দান করেছেন। তবে ট্রাস্টি বোর্ডে দান করা সম্পত্তির বর্ণনা দেননি এরশাদ, সেখানে শুধু দানের কথা উল্লেখ রয়েছে। ছোট ছেলে এরিককে বোর্ডে রেখেছেন এরশাদ।

তবে বড় ছেলে, স্ত্রী রওশন ও ভাই জি এম কাদেরকে বোর্ডে রাখেননি। এরশাদ তার সম্পত্তির মধ্যে গুলশান ২-এর বাড়ি অনেক আগেই স্ত্রী রওশনকে দেন। ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ এরিক এরশাদের নামে দেন। দত্তক ছেলে আরমানকে দেন গুলশানের অন্য একটি ফ্ল্যাট। কাকরাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয় ও রংপুরের জাতীয় পার্টি অফিস দলকে দান করেন তিনি।

তাছাড়া এরশাদ তার নগদ অর্থ ও অন্যান্য সম্পত্তির কতটুকু কাকে দান করেছেন, তার পরিবারের সদস্যরাও এ নিয়ে মুখ খুলেননি। তবে এরশাদ সব কিছু বণ্টন করে দিয়ে গেছেন।

গত কয়েকদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এইচএম এরশাদ। রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। প্রায় ৮ মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে