ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

অবশেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যে খানে শেষ হল এরশাদের দাফন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুলাই ১৬ ১৯:০৩:০৯
অবশেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যে খানে শেষ হল এরশাদের দাফন

এ সময় সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে দাফন করার আগে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তার প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এদিকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত রবিবার ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকেই তাকে দাফন করার স্থান নিয়ে নানামুখী বিতর্ক শুরু হয়।

অবশেষে আজ মঙ্গলবার রংপুরে এরশাদের চতুর্থ ও শেষ জানাজার পর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসেই এরশাদকে দাফন করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

এদিকে জাতীয় পার্টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রংপুরেই এইচএম এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে রওশন এরশাদের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন তিনি।

এর আগে এরশাদের মৃত্যুর দিন বনানী সামরিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল রংপুর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। তার সাবেক স্ত্রী বিদিশাও রংপুরে দাফন করার পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।

আজ দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর কালেক্টরেট মাঠে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ ও শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। সেখানে লক্ষাধিক মানুষ জানাজায় শরিক হয়। জানাজার আগে থেকেই এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে হট্টগাল শুরু করেন তারা।

এ সময় জানাজার আগে বক্তৃতায় মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এই দাবি আবারও তোলেন। এরপর জি এম কাদের বক্তব্য শুরু করলে তার বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্লোগান শুরু হয়। পরে বেলা ২টা ২৫মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়।

এ সময় জানাজার পর শত শত কর্মী এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরে। তারা তাকে রংপুরে দাফন করার দাবি করেন। গাড়িটিতে ছিলেন মেয়র মোস্তাফিজ। ময়দানে মাইক থেকে তার প্রতি আহ্বান জানানো হয়, মরদেহ যেন রংপুর থেকে ঢাকায় না যায়। এ অবস্থায় বেলা তিনটার দিকে এরশাদের মরদেহ শহরে তার বাড়ি পল্লী নিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ৫টা ৪৪ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে