ঢাকা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১

ছুটে আসা উদ্ধারকর্মীর বর্ণনায় মৌলভীবাজারে ট্রেন দুর্ঘটনা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুন ২৪ ১৪:০৬:৪৩
ছুটে আসা উদ্ধারকর্মীর বর্ণনায় মৌলভীবাজারে ট্রেন দুর্ঘটনা

পেশায় গাড়ির চালক জনি চৌধুরী বাদশা যার বাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের বেশ কাছে এবং দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে ছুটে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন তিনি।

বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে তিনি সেখানে ছুটে যান।

"দেখি ব্রিজের ওপরে ট্রেনটা কাত হয়ে পড়ে আছে... মধ্যে দিয়ে ভেঙে একটা বগি নিচে পড়ে আছে ...দুইটা বগি লাইনের ওপরে খাড়া আছে। মানুষজন চিৎকার করছে, কারো মাথা, হাত-পা কেটে গেছে...।"

'উপবন এক্সপ্রেস' আন্তঃনগর ট্রেনটি রোববার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় একটি সেতু পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এরপরই তারা উদ্ধার সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

"লোকজন চিৎকার করছিল। আমরা ভেতরে আটকে পড়া লোকদের বের করে আনি। ট্রেনের নিচে কয়েকজন আটকা পড়ে। ফায়ার সার্ভিস এসে এরপর উদ্ধারকাজ শুরু করে। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।"

বেলা বারোটার দিকে মিস্টার চৌধুরী জানান, "এখনো সেখানে তিনটি বগি কাত হয়ে পড়ে আছে। একটা বগি লাইনের ওপর খাড়া হয়ে আছে।"

ঘটনার পরপর ফেসবুক লাইভ করছিল অনেকে। সেটা স্থানীয় মানুষদের মধ্যে একধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং উদ্ধারকাজে অসুবিধার সৃষ্টি করে বলেও তিনি জানান।

এদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিক হয়নি রেল যোগাযোগ।

রেল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনায় নিহত তিন নারীসহ চারজনের মৃতদেহ কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্থানীয় কর্মকর্তারা ৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। কুলাউড়া সাব স্টেশন থেকে বলা হয়, হাসপাতালে নেয়ার পর একজন মারা যান।

দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে কুলাউড়া হাসপাতালে অর্ধশতাধিক এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জনের বেশি চিকিৎসাধীন আছেন।

সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু জানান, ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, হঠাৎ তারা একটি দুলুনি টের পান এবং এর পরেই বিকট শব্দ শোনা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানান, ট্রেনটি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিলো।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিতাস নদীর উপরে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে সড়কপথে যাত্রা ব্যাহত হওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে ট্রেনের ওপরে চাপ বেড়ে যায় বলে তিনি জানান। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে