ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দু:সংবাদ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ এপ্রিল ২৯ ০১:২৯:৫৩
সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দু:সংবাদ

সৌদি আরবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মী ও গৃহকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের কর্মীদের সমস্যা সমাধানে বছরে চারবার যৌথ কারিগরি সভা করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। আগামী রমজান মাসের আগেই যৌথ কারিগরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। এছাড়া বৈঠকে ভিসা ট্রেডিং বন্ধের বিষয়ে দুই দেশ একমত পোষণ করেছে। সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশী গৃহকর্মীদের জন্য দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সেফ হাউসের বিষয়ে দুই দেশ একত্রে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।

রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরবের উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশের কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহসহ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান ড. নজরুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের সাত দিনের মাথায় সৌদি সরকার অবৈধ কর্মীদের নিজ উদ্যোগে দেশে ফেরার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। ২৯ মার্চ থেকে অবৈধ অভিবাসীরা এই সুযোগ পাচ্ছেন।

সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয়েছে এক মাস। এক মাসের মধ্যে কোন অবৈধ প্রবাসী দেশে না ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটা কোন উদ্বেগের বিষয় নয়। এটা তাদের রুটিন কাজ। যারা অবৈধ হয়ে গেছেন তাদের তো দেশে ফিরতেই হবে। তারা দেশে ফিরলেও কোন কোন ক্ষতি নেই। কারণ সৌদি আরবের শ্রম বাজারে বাংলাদেশের বিপুল কর্মী যাচ্ছেন।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর অবৈধ প্রবাসীরাও দূতাবাস থেকে আউটপাস সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। কর্তৃপক্ষ বলছেন ৩ লাখের বেশি কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছেন দেশটিতে। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মী সৌদি আরবে কাজ করেন। সরকারী হিসাব মতে সৌদিতে প্রায় ২৬ লাখ কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এত বিপুলসংখ্যক কর্মীর মধ্যে অবৈধ কর্মীর সংখ্যাও অনেক।

প্রতিনিয়তই সৌদিতে নতুন কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। আবার চাকরির মেয়াদ শেষ করে অনেকে দেশেও ফিরে আসছেন। এর আগেও সৌদি কর্তৃপক্ষ সোর্স কান্ট্রিগুলোর অবৈধ কর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। তখনও অনেক দেশের অবৈধ কর্মীদের দেশে ফিরতে হয়েছে। এবারও একইভাবে দেশটির কর্তৃপক্ষ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে।

যাদের অল্পদিন আগে চাকরির সময় শেষ হয়েছে- তাদের যেন আরও এক বার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে কিছু জানায়নি। সৌদিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। তারা যদিও এখন পর্যন্ত কোন ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। আশা করা যাচ্ছে, বেশ কিছু কর্মীকে বৈধ করে নিতে পারে।

মূলত দেশটিতে তিন ধরনের অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। তাদের আলাদা ধাপ অনুসরণ করে দেশে ফিরতে কোন ধরনের জেল-জরিমানায় পড়তে হবে না। শুধু সৌদি আরব ত্যাগের জন্য কয়েকটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। যারা কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব এসে আকামার (রেসিডেন্ট পারমিট) মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর নবায়ন করেননি, নিয়োগকর্তা পলাতক দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, কাজের ভিসায় এসে কোন কারণে সব কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছেন, ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করেছেন, অনুমতি পত্র ছাড়া হজ করতে গিয়ে মামলা হওয়ায় আকামা নবায়ন হচ্ছে না, কারও ডিপেন্ডডেন্ট হিসেবে থাকার পর এখন অবৈধ অথবা সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে মামলা হয়েছে, যেসব অভিবাসীরা মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট না থাকলে দূতাবাস থেকে আউটপাস (বিশেষ ট্রাভেল পাস) সংগ্রহ করে সেটা নিয়ে নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিস, সফরজেল অথবা ডিপোর্টেশন সেন্টারে গিয়ে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করার পর বিমান টিকেট কিনে দেশে ফিরতে হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে