ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে অনেক তথ্য দিয়েছেন আসামি কাদের

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ এপ্রিল ১৯ ১০:২৯:১২
নুসরাত হত্যাকাণ্ডে অনেক তথ্য দিয়েছেন আসামি কাদের

হাফেজ আবদুল কাদের ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং একই মাদরাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ওই মাদ্রাসাটিতে আলিমের শিক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত।

নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন ও পুড়িয়ে হত্যামামলার প্রধান আসামি ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার সঙ্গে কাদেরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।

বুধবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার কাদেরকে বৃহস্পতিবার ফেনীর আদালতে নিয়ে যায় নুসরাত হত্যামামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে তিনি দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ফেনীর জ্যেষ্ঠ হাকিম সারাফ উদ্দিন আহমদের কাছে ১৬৫ ধারায় জবানবন্দি দেন।

পিবিআইর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল সাংবাতিকদের বলেন, “এজহারভূক্ত আসামি আবদুল কাদের হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

“দীর্ঘ সময় ধরে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত অনেক তথ্য উঠে এসেছে।”

সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মনছুর খান পাঠানবাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে কাদের মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থাকতেন।

পিবিআইর এক কর্মকর্তা বলেন, “নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার আগের রাতে মাদ্রাসায় কাদেরের কক্ষেই বৈঠক হয়েছিল। ঘটনার দিন সে হত্যাকারীদের নিরাপত্তায় মাদ্রাসার গেট পাহারায় ছিল।”

আসামিদের মধ্যে এর আগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ওই মাদ্রাসার ফাজিলের ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম ও আবদুর রহিম শরিফ।

ঢাকার হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ নুসরাত; পাঁচ দিন পর মৃত্যু হয় তার ঢাকার হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ নুসরাত; পাঁচ দিন পর মৃত্যু হয় তারশামীমের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা করায় গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে কৌশলে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু হয়।

নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের করা মামলার আট আসামির সবাইকেই গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এছাড়া আগুন লাগানোর সময় উপস্থিত অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি ও নুসরাতের সহপাঠি কামরুন নাহার মনিও ধরা পড়েছেন।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, এনিয়ে এই মামলায় মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠি আরিফুল ইসলাম, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম ও আবদুর রহিম শরিফ।সুত্রঃ বিডি নিউজ ২৪ডট.কম

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে