ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রক্তক্ষয়ী একাত্তরের বাংলাদেশ আর স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ এপ্রিল ১১ ১৯:০২:৫৯
রক্তক্ষয়ী একাত্তরের বাংলাদেশ আর স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই

সঞ্চালণায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল, সহসভাপতি অতুলন দাস আলো, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান বিবর্তন এবং ঢাকা মহানগর কমিটিরসহসাধারণ সম্পাদক হিশাম খান ফয়সাল প্রমুখ।মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেব বলেন, “রক্তক্ষয়ী একাত্তরের বাংলাদেশ আর স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। ফারাক কেবল ৭১’এ দেশের নারীদের ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন করেছে বর্বব পাকিস্তানিরা আর এখন স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকরা। পাকিস্তান বিতাড়িত হয়েছে, কিন্তু পাকিস্তানি উগ্র পুরুষতান্ত্রিক ধ্যানধারনা আমাদের সমাজের পরতে পরতে রয়ে গেছে। আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের ব্যর্থতার কারণে আমাদের প্রতিদিন ধর্ষণ-যৌন নির্যাতনের লোমহর্ষক খবরগুলো দেখতে হয়। নুসরাত হত্যাকান্ড নুসরাত হত্যাকান্ড আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের ব্যর্থতাকে প্রমান করে।” এসময় তিনি তার বক্তব্যে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অতুলন দাস আলো বলেন, “দেশের মানুষের নিরব ভূমিকা সিরাজউদ্দৌলার মত নরপিশাচদের নিরাপত্তা বেষ্টনি। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই। আইনের ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করে এহেন ন্যাক্কারজনক অপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে দেশের মানুষকে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ”ঢাকা মহানগরের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন,“দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমান অংশীদার নারীরা। কিন্তু সরকারের নিশ্চুপতা কেবলমাত্র পুরুষের স্বার্থকেই রক্ষা করছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগে নারী শিক্ষার হার, নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে সত্য, কিন্তু নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত আজও নিশ্চিত হয়নি। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, তাদের অনিরাপদ রেখে উন্নয়নের চাকা সচল থাকতে পারেনা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে