ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাটোরের তিন উপজেলায় নৌকা হারল নিজেদের কাছে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ মার্চ ১০ ২২:৫৯:৪০
নাটোরের তিন উপজেলায় নৌকা হারল নিজেদের কাছে

রোববার জেলার পাঁচ উপজেলার নির্বাচনে তিনটিতে বিদ্রোহীদের দাপটে কোণঠাসা থাকলেও একজন সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তিনি সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম। তিনি ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যানও। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে ছিলেন আদেশ আলী সরদার। আগে ছাত্রদল-যুবদল নেতা ও উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় সাংসদ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম। নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতা এবং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় সাংসদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবিব সরাসরি ভোটের মাঠে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। ভোটের দিন বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারেননি শফিকুল। তারপরও শেষ পর্যন্ত তিনি জিতেছেন।

Eprothom Aloবড়াইগ্রামে জিতেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু। দলীয় প্রতীক না পেয়ে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। আর সেখানে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তবে মোয়াজ্জেম হোসেনকে সরাসরি সমর্থন দেন নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আবদুল কুদ্দুস। ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকাশ্যেই তিনি মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে ভোট চান। মোয়াজ্জেমকে জেতানো তাঁর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং এ জন্য কাজ করা বড় ঝুঁকি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অবশ্য এই জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নোটিশ পেয়ে ভোটের আগেই এলাকা ছেড়ে যান তিনি।

গুরুদাসপুর উপজেলায়ও জিতেছেন সাংসদ আবদুল কুদ্দুসের সমর্থিত প্রার্থী। তিনি হলেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এই উপজেলায় নৌকার প্রার্থী ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। আরেকজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরকার এমদাদুল হক মোহম্মদ আলী। বাগাতিপাড়ায় নৌকার প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার রহমান। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহীদুল ইসলামের ছোট ভাই অহিদুল ইসলাম (গকুল)।

অন্যদিকে, লালপুরে প্রত্যাশামতোই জিতেছেন আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের প্রার্থী আবদুল হালিম। ইসাহাক আলী নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহীদুল ইসলামের আপন ভগ্নিপতি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে