ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

জ্ঞান ফিরেছে ওবায়দুল কাদেরের

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ মার্চ ০৪ ০০:২৬:২৪
জ্ঞান ফিরেছে ওবায়দুল কাদেরের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুমূর্ষু অবস্থায় দিনভর ভেন্টিলেশন মেশিনে অচেতন থাকলেও রাতে তার জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা জানান, রাতে তিনি চোখ মেলে তাকিয়েছেন। তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, প্রস্রাবও হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়। সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

সেতুমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, সকালে ফজরের নামাজ শেষে হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা অনুভব করেন মন্ত্রী মহোদয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসকরা তার মেডিকেল চেকআপ করেন। চেকআপ শেষে তাকে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেন। পরে এনজিওগ্রাম শেষে চিকিৎসকরা জানান তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সকালে এনজিওগ্রামের পর ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার হার্টে রিং পরিয়ে একটি ব্লক সচল করা হয়েছে। পরে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন- আগামী ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান এনজিওগ্রামের প্রতিবেদন দেখে যুগান্তরকে বলেন, সেতুমন্ত্রীর এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটি ওপেন করা হয়েছে। সকালের চেয়েও এখন শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না।

এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক পরিস্থিতি বারবার অবনতি হচ্ছে। এ কারণে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।

সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তিনি হাত-পা নাড়ছেন, প্রস্রাব হচ্ছে, যেটা দুপুরের দিকে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। তাই আপাতত তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে না।

সাংবাদিকদের ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, ওবায়দুল কাদের তাকিয়ে সবকিছু দেখছেন, কথা বলতে পারছেন না। তাকে সবকিছু চেনানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউর সুবিধা নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যে চার সদস্যের দল এসেছে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। তারাসহ এখানকার চিকিৎসকরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া যাবে না। কারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউর সুবিধা নেই। আর তার যে পরিস্থিতি সে অনুসারে আগের চেয়ে উন্নতি হলেও আইসিইউ সেবা ছাড়া পরিবহন করানো বা আইসিইউ ছাড়া রাখা যাবে না।

ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, অবস্থার আরও উন্নতি হলে তখন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে পরিবহন করানো যাবে। এখন এখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে এসে পৌঁছান সিঙ্গাপুরের ওই চিকিৎসকরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে