ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অভিনন্দনের মুক্তিতে অর্থ দিতে হবে ভারতকে

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ মার্চ ০১ ১৪:৪৫:১৬
অভিনন্দনের মুক্তিতে অর্থ দিতে হবে ভারতকে

বুধবার পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে আটক হওয়া পাইলট আভিনন্দন ভার্থামানকে ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে পাকিস্তান।

জেনেভা কনভেনশন অনুসারে, যখন কোন দেশের যোদ্ধারা বা সৈনিকেরা শত্রু পক্ষের সীমানার ভেতরে বন্দী হন তখন তাদের বলা হয় যুদ্ধবন্দী। কনভেনশন অনুযায়ী অভিনন্দন বর্তমানে একজন যুদ্ধবন্দী। ফলে তাকে কনভেনশনের বিধান অনুযায়ী ফিরিয়ে দিতে হবে।

জেনেভা কনভেনশনের আর্টিকেল ১১৮ তে বলা আছে - যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর কোনরকম দেরি না করেই যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি এবং স্বদেশে প্রত্যাবাসন বা ফেরত পাঠাতে হবে।

কিন্তু এভাবে ফেরত পাঠানোর মতো পরিবেশ যদি না থাকে বা দুই পক্ষ কোন যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে যুদ্ধরত প্রতিটি পক্ষ কোনরকম দেরি না করে ওপরের নীতির আলোকে যুদ্ধবন্দীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নিজস্ব একটি পরিকল্পনা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করবে।

যে পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে, তা যুদ্ধবন্দীকে জানাতে হবে।

যে দেশ যুদ্ধবন্দীকে ফেরত পাঠাচ্ছে এবং তিনি যে দেশের নাগরিক, উভয় দেশ সমান হারে যুদ্ধবন্দীদের ফেরত পাঠানোর সব খরচ বহন করবে।

সেসব ক্ষেত্রে দুইটি নীতি অনুসরণ করা হবে:

১. যুদ্ধরত দুইটি দেশ যদি একই সীমান্ত ব্যবহার করে, তাহলে তাকে আটক করার পর থেকেই যাবতীয় খরচের সমান অংশ দেবে ওই বন্দীর দেশ।

যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান একই সীমান্ত। সেকারণে সীমান্ত ব্যবহার করে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হলে অভিনন্দন আটক হওয়ার পর থেকে পর্যন্ত সব খরচ ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে পরিশোধ করতে হবে।

২. যদি উভয় পক্ষের মধ্যে এক সীমান্ত না হয়, তাহলে আটককারী দেশটি ওই বন্দীকে নিজের খরচে তাদের নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে নিয়ে আসবে, যেখান থেকে থেকে ওই বন্দীর দেশ যতটা সম্ভব কাছাকাছি হবে। যুদ্ধবন্দীদের ফেরত পাঠানোর বাকি খরচ দুই পক্ষ সমানভাবে বহন করতে সম্মত হবে। তবে যুদ্ধবন্দীদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা তৈরির কোন কারণই গ্রহণযোগ্য হবে না।

সুত্রঃ সময়নিউজ টিভি

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে