পাকিস্তানের এফ-১৬ না ভারতের মিরাজ ২০০০ সবচেয়ে শক্তিশালী যে যুদ্ধ বিমান
১৯৭০ দশকের শেষের দিকে লাইটওয়েট ফাইটার হিসেবে মিরাজ তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি ‘স্ট্রাইক ভ্যারিয়ান্ট’ তৈরি করা হয়।
অন্যদিকে ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে এর চুক্তি হয়। সেই সময়ের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬, ২০১৬ সালে পাকিস্তানকে হস্তান্তর করা হয়। এ যুদ্ধ বিমানটি তৈরি করেন লকহিড মার্টিন।
অর্থ সাশ্রয়ী হালকা বহুমুখী বিমান হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে এফ ১৬ বিমান। মার্কিন আরেক ব্যয়বহুল বিমান এফ ১৫কে সাহায্য করতেই যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এটি ‘এয়ার টু এয়ার’-এ অত্যধিক সফল। কিন্তু মিরাজ ‘এয়ার টু এয়ার’, ‘এয়ার টু গ্রাউন্ড’ দু’টি ক্ষেত্রেই সফল।
মিরাজ ২০০০-এ উন্নত সামরিক সরঞ্জামের পাশাপাশি এটি রাতেও হামলা চালাতে পারে। তবে এফ ১৬ যুদ্ধবিমানেও ‘নাইট ভিশন’ যথেষ্ট শক্তিশালী। এতে কামান, ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা ও সব রকম অস্ত্র থাকে।
মিরাজ ২০০০ নিজের সুরক্ষা পাশাপাশি আঘাত হানতেও পারে। এ যুদ্ধ বিমানে দুটি ৩০০ এমএম ডেভা ৫০ রিভলবার কামান থাকে, এফ ১৬-এর ক্ষেত্রে একটি ২০ এমএম এম৬১ ভালকান কামান থাকে বাঁ-দিকের ডানায়। এফ ১৬-এর কামানের গুলির হার ৬ হাজার রাউন্ড প্রতি মিনিটে, অপর দিকে মিরাজের কামানে গুলির হার ১৮০০ রাউন্ড প্রতি মিনিটে।
মিরাজে চালকের হেলমেটের মধ্যেই থাকে ডিসপ্লে। এর ফলে সুপার ইমপোজড রাডার ডাটা দেখতে পারেন চালক। ককপিটে ডিসপ্লে থাকার প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে এফ ১৬-এর ককপিটও বেশ উন্নত। এতে রয়েছে মাল্টিফাংশনাল ডিসপ্লে।
মিরাজে ২০০০ রয়েছে রয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী রাডার। যার ফলে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে সহজেই। ডপলার বিমিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমিতে থাকা যে কোনও বস্তুর নিখুঁত মানচিত্র এঁকে ফেলতে সক্ষম। পাকিস্তানের এফ ১৬-এর রাডারও শক্তিশালী। এই বিমানে ভার্টিকল স্টেবিলাইজার আছে। ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ সম্ভব যুদ্ধের সময়ও।
মিরাজের থেকে ওজন বহন করার ক্ষমতা এফ-১৬-এর অনেকটাই বেশি। মিরাজ ২০০০ দূরপাল্লার অভিযানে বেশি সফল, এফ ১৬ মধ্যমাত্রার অভিযানে বেশি সফল। মাটিতে থাকা যে কোনো চলন্ত বস্তুকেও নিশানা করতে সক্ষম দু’টি যুদ্ধবিমানই। অত্যন্ত শক্তিশালী মিরাজ যুদ্ধবিমানের অতি সম্প্রতি আধুনিকীকরণ হয়েছে। যদিও এমনিতে আকাশপথে ২৩৩৬ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ওড়ে মিরাজ, এফ ১৬-এর গতি ২৪১৪ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
মিরাজ ২০০০ এর চেয়ে আকাশপথে যুদ্ধের ক্ষেত্রে এফ ১৬-কেই এগিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। অস্ত্র রাখার ক্ষমতার দিক থেকে এফ-১৬-এর ক্ষমতা খানিকটা বেশি।
মিরাজের থেকে আরও একটা জায়গায় এফ ১৬কে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে রাখছেন, কারণ উল্লম্বভাবে আকাশপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এফ ১৬-এর গতি অনেকটাই বেশি।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আইপিএল নিলাম: ২কোটি ৭০লাখ রুপিতে যে দলে সাকিব, দেখেনিন মুস্তাফিজ ও তাসকিনের অবস্থান
- দেশে টাকা পাঠানোর উত্তম সময়: সৌদি রিয়াল রেটের অবিশ্বাস্য লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল পতন, দেখেনিন আজকের রেট কত
- ব্রেকিং নিউজ: আইপিএল নিলামে ঝড় তুললেন নাহিদ রানা
- IPL নিলামে ঝড় তুলেছেন তাসকিন, ৫ কোটি রুপিতে যে দলে তাসকিন, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- IPL 2025 Auction: ৫ কোটি রুপিতে যে দলে তাসকিন, দেখেনিন মুস্তাফিজের অবস্থান
- আজকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পাল্টে গেল বাংলাদেশের ১৮ বছরের ইতিহাস
- প্রথম দিনেই কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী চারে দিকে উঠলো প্রশংসার ঝড়
- টি-টেন লিগে আকাশ ছোয়া মুল্যে দল পেলেন সৌম্য সরকার, দেখেনিন যে দলের হয়ে খেলবেন
- ৩ পরিবর্তন নিয়ে শেষ ওয়ানডে ম্যাচের জন্য শক্তিশালী একাদশ ঘোষণা করলো বাংলাদেশ
- অনেক দিন পর সাব্বিরের ব্যাটে চার ছক্কার ঝড়
- ব্রেকিং নিউজ: নাজমুল হোসেন শান্তকে হারালো বাংলাদেশ
- যে কারণে সাকিবকে বাতিল ঘোষণা করলো আইসিসি
- খেলার মোড় ঘোরালেন নাসুম আর ম্যাচে ম্যাচ সেরা হলেন অন্য যে ক্রিকেটার
- ব্রেকিং নিউজ: বাতিল ঘোষণা করলো আইসিসি, মুখ খুললেন সাকিব