ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সদ্য সংবাদ

জরুরী সংবাদ সম্মেলন শেষে যেসব দাবী জানালেন ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ৩১ ১৯:১৩:৪১
জরুরী সংবাদ সম্মেলন শেষে যেসব দাবী জানালেন ফখরুল

সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন করেছে। তাই আমরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যন করছি। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, যতো দ্রুত সম্ভব তা দিতে হবে। এই নির্বাচন প্রমাণ করেছে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বেগম খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটি সঠিক ছিলো।

ফখরুল বলেন, আগে থেকেই এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনের আগেই আসন ধরে ধরে ভৌতিক মামলা হয়েছে। সেই মামলা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই মামলায় বিরোধী দলকে আটকানোর জন্য গোটা রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে। সারা দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে। এর মাধ্যমে গোটা দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। এমন নির্বাচন অতীতে আর কখনও হয়নি এ দেশে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়টি আগে থেকেই ছিলো সুপরিকল্পিত। ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে ভোটের আগের রাতে। এ নির্বাচনে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভীতি ছাড়া কিছু ছিলো না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারা দেশে টার্গেট করে এজেন্টদের আটক করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে জাল ভোট দিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। এর সঙ্গে র‌্যাব পুলিশ সহয়তা করেছে। ভোটের দিন সকালেও দখল করেছে। কিছু কেন্দ্রে ১১ টা পর্যন্ত ভালো রেখেছে। কিন্তু যখন দেখলো ভোটারেরা বেরিয়ে আসছে তখনও সেটি দখলে নিয়েছে। এসব কাজে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সহায়তা করেছে। তারা সব সময় বিরোধী দলকে তাড়ানোর কাজে নিয়েজিত ছিলো। অনেক জায়গায় তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করেছে।

তিনি বলেন: এ নির্বাচনে কোনো বিদেশি পযবেক্ষক ছিলো না। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদের আসতে দেয়নি। আর ইইউ তাদের কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। যারা এসেছে তারা সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। সরকার নিজের টাকায় তাদের নিয়ে এসেছে। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম, জুলুম নির্যাতন সত্ত্বেও।

এসময় মির্জা ফখরুল দাবি করেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পযন্ত ২১ হাজার নেতাকর্মী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে