ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় যাওয়ার আগে ফেস বুক লাইভে যা বললেন কাজী হায়াৎ

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ২৬ ০১:৩৯:৪১
উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় যাওয়ার আগে ফেস বুক লাইভে যা বললেন কাজী হায়াৎ

লাইভে কাজী হায়াৎ বলেন, প্রিয় দেশবাসী এবং আমার ভক্তবৃন্দ। আমি জানি সারা দেশে আমার অসংখ্য ভক্ত ছড়িয়ে আছে। আমাকে যারা ভালোবাসেন, যারা আমার শুভকামনা চান, অনেকে তো ফোনও করেন। অনেক সময় ফোন করলে আমি বিরক্ত হই কিন্তু আমি জানি তাদের ভালোবাসা অনেক গভীর। আজ আমি ঢাকার বিমানবন্দরে বসে এই কথাগুলো বলছি।

আমার চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি নিউ ইয়র্ক শহরে। জানি না চিকিৎসা কেমন হবে? তবে এ রোগের কথা আমি বা আমার আত্মীয়স্বজনের নিকট শুনিনি। সেটা হচ্ছে আমার ঘাড়ের রক্ত চলাচলের যে রগটি আছে সেটি ব্লক হয়ে গেছে। মাথায় যে রক্ত চলাচলের রাস্তা সেটিও ব্লক হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এর চিকিৎসা হয় না।

তিনি বলেন, দোয়া করবেন আমি যেন ভালোভাবে ফিরে আসি। যেদিন আপনারা ভোট দেবেন, সেদিন হয়তো আমি নিউ ইয়র্কে অপারেশন টেবিলে থাকবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন ভালোভাবে ফিরে আসতে পারি। দেশের জন্য দোয়া করবেন। যে দেশের জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যে দেশকে আমি ভালোবাসি, যে দেশের কথা আমি সিনেমায় সবসময়ই বলেছি। যে দেশের ক্ষত চিহ্নগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি প্রতিটি সিনেমায়।

তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই আরো অনেকদিন। আমার স্বপ্ন আমি আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো। আবার বাংলাদেশের মাটিতে এসে (অ্যাকশন-কাট) বলব, পদ্মা সেতু দিয়ে আমার গ্রামের বাড়ি যাব। আমার গ্রাম অনেকদূর এখান থেকে। আমি চলে যেতে চাই আমার গ্রামের সেই মধুমতির পাড়ে। যেখানে আমি শৈশবে-কৈশরে সাঁতার কেটেছি। সেখানে আবার যেতে চাই। পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে চাই। সেই আশা যেন আমার পূরণ হয়। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। এছাড়া আমার কিছু বলার নেই। আমজাদ হোসেন চলে গেছেন, আমার প্রিয় এবং কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

কয়েক বছর ধরেই হার্ট ও শরীরের বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন গুণী নির্মাতা কাজী হায়াৎ। মাঝে চিকিৎসার কারণে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানে উন্নত চিকিৎসা করা হয় তার। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ফের নিউ ইয়র্কে রওনা করেন তিনি। সঙ্গে আছেন তার সন্তান কাজী মারুফ।

কাজী হায়াৎ অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত অন্যতম চলচ্চিত্রসমূহ হল দাঙ্গা (১৯৯২), ত্রাস (১৯৯২), চাঁদাবাজ (১৯৯৩), সিপাহী (১৯৯৪), দেশপ্রেমিক (১৯৯৪), লাভ স্টোরি: প্রেমের গল্প (১৯৯৫), আম্মাজান (১৯৯৯), ইতিহাস (২০০২), কাবুলিওয়ালা (২০০৬) এবং ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০)।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে