ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অবশেষে সমস্যার সমাধান চাইলেন সৌদি বাদশাহ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ১৪ ০০:৪৯:৪০
অবশেষে সমস্যার সমাধান চাইলেন সৌদি বাদশাহ

সৌদি বাদশাহ সালমান এই শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি ইয়েমেন যুদ্ধে রাজনৈতিক সমাধানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে এ পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ মারা যায়। দেশটির নাগরিকরা পড়ে দুর্ভিক্ষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধের রাজনৈতিক সমাধানের দিকেই যাচ্ছে সৌদি জোট।

কাতার ইস্যু, ইয়েমেন যুদ্ধ ও সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে রিয়াদের ওপর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ এবং বৈরী রাষ্ট্র ইরানের ওপর মার্কিন অবরোধের প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলনের আয়োজন করল সৌদি আরব। ফলে গতকাল এক দিনের এ সম্মেলনের মূল এজেন্ডাও ছিল সাম্প্রতিক সময়ের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা।সম্মেলনে সৌদি আরব ছাড়াও আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইনের রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নেন। আর কাতারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। ইরাক-ইরান যুদ্ধ সর্বোচ্চে পৌঁছে গেলে এবং ইরানের ইসলামিক বিপ্লব কায়েমের দুই বছরের মাথায় ১৯৮১ সালে পারস্য উপসাগরীয় ছয়টি সুন্নি দেশ নিজেদের ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য জিসিসি গড়ে তোলে।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে জিসিসিভুক্ত বাহরাইন, আরব আমিরাত ও মিসর ২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দোহার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। সৌদি আরব ও তার মিত্রদের অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং তাদের আঞ্চলিক শত্রু ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলছে। তবে অন্য দুই সদস্য রাষ্ট্র কুয়েত ও ওমান দোহার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাও করে আসছে।

এর মধ্যেই গত ৩ ডিসেম্বর সৌদি নিয়ন্ত্রণাধীন পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক ছাড়ার ঘোষণা দেয় কাতার। ফলে দুই পক্ষের বিরোধ ও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরো জটিল করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের আগে কাতার প্রসঙ্গে বলেন, ‘জিসিসিতে নিজের অবস্থান ফিরে পেতে কাতার সব ধরনের সংযোগই ধ্বংস করে দিয়েছে।’

সম্মেলনের আগে জিসিসি মহাসচিব ড. আবদুল লতিফ আল-জায়ানি বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর যৌথ পদক্ষেপ এবং উপসাগরীয় রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক ও আইনগত ঐক্য ও সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত কী অর্জিত হলো তা নিয়ে নেতারা আলোচনা করবেন। তিনি আশা করেন, এ শীর্ষ সম্মেলনে উপসাগরীয় সহযোগিতা ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নাগরিকদের বৃহত্তর সংহতি ও সংযোগ স্থাপনে কার্যকর ফল পাওয়া যাবে। সূত্র : এএফপি, আরব নিউজ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে