ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আবর্জনার স্তূপের কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি এখন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ১২ ১৬:৫২:৪০
আবর্জনার স্তূপের কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি এখন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

শিশুটিকে সবিরান অবাক হয়ে যান, গরিব হলেও সবিরান ছিলেন একজন ভালো মানুষিকতার মানুষ তাই সে বাচ্চাটিকে ওখান থেকে বাড়ি নিয়ে যান এবং তার প্রান রক্ষা করেন। মেয়েটির নাম রাখেন জ্যোতি।

তখন তার বয়স ছিল প্রায় ৩০ আর তিনি ছিলেন অবিবাহিত। ফলে বাচ্চাটিকে মানুষ করতে তার কোন ধরণের অসুবিধা হয়নি। প্রবল দরিদ্রতার মধ্যেও কুড়িয়ে পাওয়া জ্যোতিকে তার নিজের মেয়ের মতনই আদর যত্নে মানুষ করেন সবিরান, তাকে বড় করে তোলেন। জ্যোতির ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে উপযুক্ত শিক্ষাও দেন। তাকে পড়াশোনা শিখিয়ে করে তোলেন মানুষের মতো মানুষ। যাতে ভবিষ্যৎ জ্যোতিকে আর কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়।

বর্তমানে সেই জ্যোতিই বড়ো হয়ে একজন ইনকাম ট্যাক্স অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হয়েছেন। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের পদে কর্মরত জ্যোতিও বহু জায়গায় তুলে ধরেছেন সবিরানের অবদান। জ্যোতি সবিরানকেই তার বাবা বলে বর্ণনা করেন সবজায়গায়। তাই স্যালুট জানাতেই হয় সবিরানের মতন এমন দৃঢ়চেতা, উদার মানসিকতার মানুষকে।

ঘটনাটি ছিল আসাম জেলার তিনশুঁখিয়ার। আসামের দরিদ্র অধিবাসীদের মধ্যেই একজন ছিলেন ‘সবিরান’। তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা। প্রতিদিন সকালে সবজি বিক্রি করতে বাজারে যান, আর সেই সবজি বিক্রির টাকা থেকেই চলে সবিরানের ছোট সংসার। তার এই ছোট্ট সংসারে ঘটলো এই অদ্ভুত ঘটনা।

তাই সেই ইংরেজি কথার মতো “জাস্ট গো উইদ ফ্লো।” জীবন কখন কোন দিকে বাঁক নেবে কখন বা পাল্টাবে তা আগে থেকে ঠাওর করা খুবই মুশকিল, তাই জীবন যেদিকে যেতে চায় সেদিকেই যেতে দিন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে