ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যে কারনে আর কখনও বিএনপিতে ফিরব না: মনির খান

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ০৯ ২১:১৩:০৯
যে কারনে আর কখনও বিএনপিতে ফিরব না: মনির খান

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মনির খান দলের সব সাংগঠনিক পদ পদবী থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আমি আর কখনও দলে ফিরব না। আমি আমার নিজ জীবন এবং সংগীতচর্চা নিয়ে থাকব।

মনির খান বলেন, রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সংগীত চর্চা শুরু করব। মাঝখানে যে কটা দিন, যে কটা বছর রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হবার পর কেটে গেছে, এটি আমার জীবনের অ্যাক্সিডেন্ট ছিল। আমার ভুল ছিল। এই ভুলের জন্য আমি বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

অতীতের ন্যায় আগামীতেও জনগণ ও দেশবাসীর পাশে থাকব উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি আজ থেকে কোনো দলের অন্তর্ভুক্ত নয়, একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে পূর্বের ন্যায় সংগীত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাব। আমি সবার দোয়া চাই। আমি গানের মানুষ প্রাণ খুলে গান গাইতে চাই।

মনির খান বলেন, আমি বাংলাদেশের একজন জাতীয় সংগীত শিল্পী। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) মহাসচিব হিসেবে দলে যোগদান করি। পরবর্তীতে আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ সংস্কৃতি সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার নির্দেশনা দেন। আমি সবসময় এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থেকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছি।

দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে মনির খান বলেন, আজ বিভিন্ন অজুহাতে আমার এলাকার জনগণকে এবং আমাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হল। এমন অবস্থায় আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাকার হয়ে বিএনপির সব সাংগঠনিক পদ পদবী থেকে ইস্তফা দিলাম।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর- কোটচাঁদপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মনির খান। প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়নের চিঠি পেয়ে জমাও দিয়েছিলেন।

আসনটিতে জামায়াতের ভোট বেশি হওয়ায় জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মতিয়ার রহমান।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতকে ছাড় দেওয়া ২৫টি আসনের মধ্যে ঝিনাইদহ-৩ আসনটি রয়েছে। এ কারণে প্রার্থী হতে পারছেন না কন্ঠশিল্পী মনির খান।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঝিনাইদহের ৪টি আসনের মধ্যে বিএনপির ৩ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত ঘোষণা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ঝিনাইদহ-৩ আসনটিতে বিএনপির কাউকে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।

ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপি থেকে কন্ঠশিল্পী মনির খান, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মেহেদী হাসান রুমি ও মতিয়ার রহমানকে প্রাথমিক মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছিল।সুত্রঃ যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে