ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নির্বাচনে সব দলকে নিয়ে আসার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ০৭ ১০:৩১:০৬
নির্বাচনে সব দলকে নিয়ে আসার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার

নিবন্ধে বলা হয়, ঢাকা থেকে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর হলো, নির্বাচনী কার্যকলাপ বাড়লেও রাজধানী তুলনামূলকভাবে শান্ত আছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যা স্বস্তির বিষয়। এই নির্বাচনে ১০ কোটির বেশি নিবন্ধিত ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে সংসদের ৩০০ আসনে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। রাজনৈতিক দলগুলো এখন ব্যস্ত তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন, ইশতেহার তৈরি এবং প্রচার কৌশল নির্ধারণে।

জনসমর্থন এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিভক্ত উল্লেখ করে বলা হয়, এই শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানুষ বরং খুশি। কারণ আগে নির্বাচন এলেই তারা এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতো। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই নির্বাচনী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা নতুন নয়। আর নির্বাচন এলে তো বাংলাদেশে সহিংসতার ইতিহাস অনেক পুরনো। নির্বাচনের দিন থেকে শুরু করে এর পরও এর জেরে সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শেষ

নির্বাচনেও রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল। বিএনপি এ নির্বাচন যেমন বয়কট করেছে তেমনি ভোটারের উপস্থিতিও ছিল কম। যাকে নিঃসন্দেহে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংসতাপূর্ণ সময় বলা যায়। সে সময় সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন ৩০০ মানুষ। এর মধ্যে শুধু ভোটের দিনই মারা গিয়েছিলেন ১৮ জন।

কিন্তু এবার গল্পটা একটু ভিন্ন। তাই এটি এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য স্বস্তির বিষয়। সহিংসতাহীন পরিস্থিতির দরুন তিনি নিশ্চিন্তে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার দিকে নজর রাখতে পারছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপি বিভিন্ন দল নিয়ে গঠিত জোটের মাধ্যমে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তাই দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য শেখ হাসিনা কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন।

এ ছাড়া সেনা হস্তক্ষেপেরও কেউ এখন আশঙ্কা করছেন না; যা নিঃসন্দেহে একটি অর্জন। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন। যা নির্বাচনের আগে উত্তেজনা নিরসনে দারুণ ভূমিকা রেখেছে।

সুত্রঃ আমাদের সময়

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে