ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মহাজোটের আসনে আ.লীগের অধিকাংশ বিদ্রোহী প্রার্থী বাতিল

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ০৩ ০৮:০৪:১২
মহাজোটের আসনে আ.লীগের অধিকাংশ বিদ্রোহী প্রার্থী বাতিল

তবে দুয়েকটি আসনে আবার ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। শক্ত কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে মহাজোটের প্রার্থীদের আসনে। সারাদেশে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসনে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নেতা

হুলু সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু কিছু অসঙ্গতি থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-১৭ আসনটিও আওয়ামী লীগের কাছে চেয়েছিলেন এরশাদ। এই আসন এখনো এরশাদকে নিশ্চিত করেনি আওয়ামী লীগ। গতকাল ঢাকা-১৭ আসনে এরশাদ ছাড়াও ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থীদের মধ্যে মাহী বি চৌধুরী (বিকল্প ধারা) ও আব্দুল কাদের খান ও আকবর খান পাঠানের (আওয়ামী লীগ) মনোনয়নপত্র বৈধ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা-১ আসনে বৈধ প্রার্থী আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান এবং জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম। আসনটি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে জাতীয় পার্টি চাচ্ছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ এখনো নিশ্চিত করেনি শরিক দলটিকে।রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির নেতা মশিউর রহমান রাঙা বৈধ প্রার্থী হয়েছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবলু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ময়মনসিংহ-৪ ও ৭ আসনে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। ময়মনসিংহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক শামীম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন রুহুল আমিন মাদানী।

চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাতীয় পার্টির নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বৈধ প্রার্থী। এই আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। ঢাকা-৬ আসনেও আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের কোনো প্রার্থী নেই। মহাজোটের একমাত্র বৈধ প্রার্থী জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের বৈধ প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ (জাপা)। এই আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী সফিকুল ইসলাম ও আবু সুফিয়ান এবং জাসদ প্রার্থী সলিমুল্লাহ ছলির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয় নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ফরমের ৭ ও ৮ নং কলাম পূরণ না করায়। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. রুহুল আমিনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নীলফামারী-৪ আসনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকায় রশিদুল ইসলাম, দলীয় মনোনয়ন না থাকায় আওয়ামী লীগের আক্তার হোসেন বাদল, আমিনুল ইসলাম সরকার ও আমেনা কোহিনুরের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি।

স্বতন্ত্রভাবে অনেকেই প্রার্থী হন; তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এখানে বৈধ প্রার্থী শওকত চৌধুরী (জাপা)। তবে দুয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী না দিলেও দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষিত হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ নোমান। এই আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পাপুলের। লক্ষ্মীপুর-১ আসনে মহাজোটের বতর্মান এমপি এমএ আউয়ালের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

তিনি এর আগেরবার তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসনটি পান। এবার তরিকত ফেডারেশন থেকে বহিষ্কৃৃত হয়েছেন তিনি। তার বদলে লক্ষ্মীপুরের আরেক ব্যবসায়ীর জন্য মনোনয়ন চান তরিকতের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভা-ারি।

নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তি ও ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া দুজনের মনোনয়নপত্রই বৈধ বলে বিবেচিত হন। এই আসনে এখনো আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করেনি আওয়ামী লীগ।

সুত্রঃ আমাদের সময়

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে