প্রবাসীর কষ্টের গল্প ‘ফিরব’বললেই কি আর ফেরা যায়,
কথাগুলো বলছিলেন সদ্য মালয়েশিয়ায় যাওয়া অমিত বিশ্বাস। তিনি বলেন, কোমরে অসম্ভব যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় দশদিন আগে হাঁসখালির মুড়াগাছার বাড়িতে ফিরেছি। বাড়ির উঠানে লতিয়ে থাকা লাউডগায় পরম মমতায় হাত বোলাতে বোলাতে আরও বলেন, ‘দালাল আমাদের মোটা টাকা বেতনের নাম করে মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল। যে সংস্থার নাম বলেছিল, ওখানে তেমন কোনও সংস্থা নেই। ওরা আসলে আমাদের ১৪ জনকে চীনের এক জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল।
পরে জানতে পারি, প্রত্যেকের জন্য ১ বা ২ লাখ করে নিয়েছে। অমিতের সঙ্গেই মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন একই গ্রামের আরেক যুবক প্রসেনজিৎ পাইক। দু’জনেই চড়া সুদে টাকা ধার করেছিলেন। প্রসেনজিতের পরিবার অত্যন্ত গরিব। তার মা টাকা জোগাড় করতে পারছেন না বলে তাকে ঘরে ফেরাতে পারছেন না। নতুন করে টাকা ধার করতেও পারছেন না। দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা।
তাদের অভিযোগ, যত বেতন দেয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। খাওয়ার খরচ নিজের। চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই। কাজে একটু এদিক-ও দিক হলেই জুটছে মারধর। অমিত বলেন, ‘যাওয়ার কিছু দিন পরেই প্রচণ্ড কোমরে ব্যথা। সেই সঙ্গে খুব জ্বর। কিন্তু কিছুতেই ওরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল না। পড়ে থাকলাম ওই ভাবে।’
বছর তিন-চারেক ধরেই এমন অভিযোগ আসতে শুরু করেছে নানা জায়গা থেকে। যে কাজের নাম করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে, সেই কাজ মেলেনি। বেতনও দেওয়া হয়নি আশ্বাস মতো। কোথাও প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ দেওয়া নাম করে লাগানো হয়েছে ঘাস কাটার কাজে।
কেউ পেয়েছেন উট চরানোর কাজ। রাজমিস্ত্রির কাজের নামে নিয়ে গিয়ে বাসন মাজার কাজ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রথমে নিয়ে নেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট। ফলে চাইলেও কেউ ফিরে আসতে পারেননি।
মূলত অভাবের কারণে এই ঝুঁকির পথে পা বাড়াচ্ছে ভারতের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একটু ভালো থাকার আশায়। এদের বেশির ভাগই হয় দিনমজুর না-হয় কাঠের বা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাদের আক্ষেপ, এখানে সারা বছর কাজ পাওয়া যায় না। মজুরিও অনেক কম।
ভাগ্যান্বেষণে যাওয়া এসব মানুষদের আশা থাকে, বছর পাঁচেক বিদেশে কাজ করতে পারলে যে টাকা জমবে, তা নিয়ে ফিরে এসে দোকান বা অন্য কোন ব্যবসা খুলে বসবেন। এদের অনেকেই হয়তো ভালো থাকেন। ঠিকঠাক চলে সবটাই। কিন্তু যারা দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে সরাসরি যেতে চান, তারা অনেকেই বিপদে পড়েন।
কেননা ওই দালালেরা সরাসরি কোনও সংস্থায় নয়, নানা দেশের ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে লোক পাঠায়। ফলে কাজের বা বেতনের কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। তার উপরে মোটা টাকায় বিক্রির অভিযোগ তো আছেই। দাস ব্যবসারই যেন এক নতুন মূর্তি।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে পরিবর্তন, বাদ পড়ছেন যে ক্রিকেটার
- সৌদি রিয়াল রেটের লম্বা লাফ, জেনেনিন আজকের রেট কত
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশাল সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- বিপিএল-এ ফিক্সিং নিয়ে আলোচনা: সন্দেহভাজন ১০ ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হলেন তানজিম সাকিব
- এক পরিবর্তন নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, দেখেনিন কপাল পুড়লো যার
- বিপিএলের ৮ ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহ, ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- কমতেই আছে সৌদি রিয়াল রেট, জেনেনিন আজকের রেট কত
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- বিপিএল মাতাতে আসছেন রাসেল, নারিন, ওয়ার্নার, টিম ডেভিড ও পাকিস্তানের আসিফ আলি
- আরব আমিরাতের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা