ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ইজতেমা নিয়ে দু'গ্রুপের সঙ্গে মেয়রের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ০১ ১৮:২৯:৩১
ইজতেমা নিয়ে দু'গ্রুপের সঙ্গে মেয়রের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো

এছাড়া শনিবারের মধ্যেই ময়দান খালি করে দেবেন। পরে মাওলানা সা’দপন্থী মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী ও মাওলানা যোবায়ের আহমেদপন্থী মুরব্বি মুফতি নূরুল ইসলাম ময়দানে গিয়ে মাইকে সবাইকে ময়দান ছাড়ার নির্দেশ প্রদান করলে মুসল্লিরা শান্ত হয় এবং ময়দান ত্যাগ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াইএম বেলালুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

মুসল্লিরা জানান, গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত মাওলানা সা’দপন্থী মুসল্লিরা ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা যোবায়েরপন্থীরা এর বিরোধিতা করেন এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এর আগেই মাওলানা যোবায়ের আহমেদপন্থীরা ময়দানের অবস্থান নেন।

শনিবার সকালে মাওলানা সা’দপন্থীরা ইজতেমা ময়দানে গেলে ময়দানের প্রতিটি গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সা’দপন্থীরা ময়দানের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ময়দানে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষে মাওলানা সা’দপন্থী মুন্সিগঞ্জের মিরকীপাড়া গ্রামের ইসমাইল মণ্ডল (৭০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রিয়াজুল ইসলাম (৩৫), রিফাত হোসেন (১৯), মতিউর রহমান (৪৩), ওমর ফারুক (৩৪), রাজু আহমেদ(৪৪), ইমান আলী (৩৭), জালাল খাঁ (৪৩), মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম (৫৫), হাফেজ আবু বক্কর (৩৫), মো. গোলাম কিবরিয়া (৪২), মো. জুয়েল (১৮), হাজী মো. রেজাউল করিম (৪৫), আশ্রাফুল ইসলাম ((১৮), মতিউর রহমান (৪৫), মাহমুদ হোসেন (৩৪), শামীম আহমেদ (৩২), মনিরুল ইসলাম (২৩), মানিক হোসেন (৩৩), মো. দাউদ হোসেন (৪০), তাহের আলী (৩৭), আবু নাঈম(২৩), নজরুল ইসলাম (৪৪), আবুল কালাম আজাদ (৪৫), মো. কামরুজ্জামান (৪৩), জহিরুল ইসলাম(৩৪), কামাল খাঁ (৪৫), মাহবুবু হোসেন (২৫), রোস্তম আলী (৪৪), রাশেদ মিয়া (২৭), আবদুর রব (৩৩), আব্দুল হামিদ (৩৬), মাহফুজুর রহমান (৫৩), মুরাদ হোসেন (৪৬), শহিদুল ইসলাম (৪৫), রিফাত হোসেন (২০), রাশেদুল ইসলাম (২৫), হযরত আলীসহ (৩৭) অন্তত ৫০০ মুসল্লি আহত হয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল ও আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয়পাশ, উত্তরা-হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, টঙ্গী-কামারপাড়া রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ হোসেন বলেন, একসঙ্গে রক্তাক্ত জখমের এত রোগী টঙ্গী হাসপাতালে আর আসেনি। আমরা সবাই মিলে এদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আগত মুসল্লিদের সকাল থেকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছি। কিন্তু হঠাৎ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সুত্র: যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে