ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টের অপেক্ষায় থাকতে চায় না বিএনপির শরিক দল

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ৩০ ২৩:৪৫:৩৯
ঐক্যফ্রন্টের অপেক্ষায় থাকতে চায় না বিএনপির শরিক দল

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘ভোটের দিন এগিয়ে আসছে। আর মাত্র ২৯ দিন পর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী হওয়ার লক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কে, কোথায়, কবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হবেন, সে অপেক্ষায় না থেকে, এখন থেকেই জমিয়ত প্রার্থীরা দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব বণ্টন, পারস্পরিক সমন্বিত যোগাযোগ এবং জনসম্পর্ক বৃদ্ধি করুন, যাতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার দিন থেকেই মাঠে-ময়দানে সরব উপস্থিতি ও তৎপরতার সঙ্গে প্রচারণা শুরু করা যায়।’

জমিয়ত মহাসচিব আরও বলেন, ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নিবন্ধিত একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল এবং আমাদের নিজস্ব প্রতিক ‘খেজুর গাছ’ রয়েছে। আমরা চ‚ড়ান্তভাবে বাছাই করে যাদেরকে প্রার্থী হওয়ার অনুমোদন দিয়েছি, তারা সবাই নিজ নিজ আসনে ব্যাপক জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনে রাব্বুল আলামীন নিশ্চয়ই আমাদের প্রার্থীদেরকে কামিয়াব করবেন, ইনশাল্লাহ।’

এবারের নির্র্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কয়টি আসনে নির্বাচন করবে? জানতে চাইলে সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন যুগান্তরকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ৫৪টি আসনে নির্বাচনের জন্য ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপির কাছে তালিকা দিয়েছিলাম। সেখান থেকে পরে তালিকা সংক্ষিপ্ত করে ১৪টি আসন চেয়েছি, ওই আসনগুলোতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জমিয়ত মনোনিত প্রার্থীরা। সর্বশেষ ৮টি আসনে আমরা জোটগতভাবে চেয়েছি, বিএনপির কাছ থেকে প্রাথমিক আশ্বাসও পেয়েছি। সমঝোতা হলে বাকিগুলো প্রত্যাহার করা হবে।

কোন ৮ আসনে আপনারা জোটগতভাবে মনোনয়ন চান? জানতে চাইলে তা প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন মাওলানা জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, এটা খুবই গোপনীয় বিষয়। এই মুহূর্তে আমরা তা প্রকাশ করতে চাই না।

প্রসঙ্গত, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০০১ সালে) বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরিক দল হিসেবে ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২টিতে জয়ী হয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

২০০৮ সালে দুটিতে নির্বাচন করে কোনো আসন পায়নি ধর্মভিত্তিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক এ দলটি।

সুত্র: যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে