ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আ.লীগ প্রার্থীর সঙ্গে ওসির ফটোসেশনে তোলপাড়

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ৩০ ০০:৫২:৪৪
আ.লীগ প্রার্থীর সঙ্গে ওসির ফটোসেশনে তোলপাড়

একই কারণে তুমুল সমালোচনা চলছে জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল হাশেমেরও। সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি গত বুধবার জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলকালে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ওসি আবুল হোসেন এবং উপরোল্লিখিত দুই ওসির মতো তিনিও ফটোসেশনে অংশ নেন। একটি

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকায় মনোনয়নপত্রে হাত রেখে ফটোসেশনের এসব স্থিরচিত্র গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হচ্ছেন এ চার পুলিশ কর্মকর্তা। গত বুধবার সাঘাটা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার ঘোষের কাছে গাইবান্ধা-৫ আসনের বর্তমান সাংসদ জাতীয় সংসদের ডেপুটি ¯িপকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া মনোনয়নপত্র জমাদানকালে ফটোসেশনে অংশ নেন সাঘাটা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ও বোনারপাড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান। এ ছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল হোসেনের কাছে গাইবান্ধা-৩ আসনে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ফটোসেশনে অংশ নেন পলাশবাড়ী থানার ওসি।

পলাশবাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় নেতাকর্মীদের বারবার ডাক পেয়ে মনোনয়নপত্রে হাত রেখেছিলাম। এমন ছবি সারাদেশে অনেকই হয়। এ ছাড়া ফটোসেশনের বিষয়টি আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। একই কথা বলেছেন সাঘাটা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা প্রদানের স্বার্থে তারা (ওসি) দায়িত্ব পালন করতে পারেন; কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হাত বাড়িয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। এ নিয়ে তাদের সতর্ক করাসহ জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মোয়াজ্জোম হোসেন রতন গত বুধবার জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার পাশে দেখা গেছে জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল হাশেমকে। এ বিষয়ে ওসি আবুল হাসেম বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে আমি সকাল থেকেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ছিলাম। এমপি সাহেব মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে ইউএনও মহোদয় আমাকে তার পাশে দাঁড়াতে বলেন। আমি এমপির লোকদের সঙ্গে ছিলাম না। প্রশাসনের কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক কাজেই সেখানে উপস্থিত ছিলাম। জামালগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান এ বিষয়ে বলেন, ওসি সাহেবসহ আমরা একটি মিটিংয়ে ছিলাম। নিরাপত্তা প্রদানের স্বার্থেই তিনিসহ আরও পুলিশ অফিসারও দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা মনোনয়ন ফরম নিয়ে অফিসে প্রবেশ করেন। ওসি সাহেবকে নিয়ে আমি মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করেছি, এর বেশি কিছু নয়।

সুত্র: আমাদের সময়

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে