জাতীয় পার্টির দলীয় সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ

তিনি আরো বলেন, "না-হয় আমাদের ৪০ জনকে সরকারে নিয়ে নেন। বিরোধী দল দরকার নেই"।
পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি যখন দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন তাহলে জাতীয় পার্টির অবস্থানটা আসলে কী?
দলেরনেতৃস্থানীয় অবস্থান থেকে মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার কথা তিনি বলতে পারছেন না কেন?
এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। পার্টির মধ্যেকার কোন্ পরিস্থিতিতে গতকাল রওশন এরশাদ এই ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন সেটা জানতে দলের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মন্তব্য করতে চাননি।
একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন বিষয়টা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। দলীয় ফোরামে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই নেতা জানান, দলের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে আলোচনা করে তিনি (রওশন এরশাদ) এই কথা বলেছেন কিনা সেটাও আমাদের জানা নেই।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু এবারে নির্বাচনের বছরে এসে রওশন এরশাদের বক্তব্যকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানাভাবে দেখছেন।
লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, "আমার কাছে পুরো বিষয়টাই হাস্যকর মনে হয়। জাতীয় পার্টি কি সিদ্ধান্ত নেবে, কিভাবে চলবে - এই সিদ্ধান্তটা জাতীয় পার্টি নিতে পারছে না। এটা সম্ভবত সরকারি দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকেই আসছে"।
তিনি আরো বলেন, "প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের ইচ্ছা এবং পছন্দ অনুযায়ী কিন্তু জাতীয় পার্টি চলছে, সুতরাং সে ছাঁচে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ যেভাবে চাইবে সেভাবেই তারা চলবে"।
জাতীয় পার্টির তিনজন সদস্য এখন মন্ত্রিসভার সদস্য। গতকাল এই বক্তব্য দেয়ার সময় দুইজন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। রওশন এরশাদ এই বক্তব্য যখন দিচ্ছিলেন তখন পাশ থেকে একজন এই আলোচনা বাদ দিতে বলেন। কিন্তু তিনি বলেন, "এটা তো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাদ দেব কেন?"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, "এটা যদি আপনি করতেন, জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। জাতীয় পার্টি সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারত। আমরা এখন সম্মানের সঙ্গে নেই"।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মাঝে পড়ে জাতীয় পার্টির অবস্থা আসলেই দিশেহারা।
জাতীয় পার্টির মধ্যে কয়েকটা গ্রুপ আছে, যার কারণে কয়েক দিন পর পরেই তাদের কর্মকর্তাদের পরিবর্তন দেখা যায় বলে তিনি উল্লেখ করছিলেন।
এদিকে রওশন এরশাদ হতাশা প্রকাশ করে গতকাল আরো বলেন, "আমরা যখন বাইরে যাই, তখন সবাই বলে, তুমি কোথায় আছ, সরকারে না বিরোধী দলে? আমরা তো বলতে পারি না"।
সুত্র: বিবিসি
রাজনীতি - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার