যে কারণে নির্বাচন করছেন না ড. কামাল
এমতাবস্থায় নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর অমানিশায় থাকা রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার ও ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। যিনি গণফোরাম সভাপতির পাশাপাশি সরকারবিরোধী বৃহৎ রাজনৈতিক মোর্চা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা।
এক দশক নির্বাচনী রাজনীতির বাইরে থাকা বিএনপিকে যিনি ভোটে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সেই কামাল হোসেনেই ভোট করছেন না।
ড. কামাল হোসেন যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না, সেটি নতুন খবর নয়। তিনি আগেই বলে দিয়েছিলেন-নির্বাচন করবেন না।
তবে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দাবি ছিল ড. কামাল হোসেন অন্তত একটি আসনে নির্বাচন করুক। খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে না পারলে তার আসনে নির্বাচন করার প্রস্তাব ছিল কামাল হোসেনের টেবিলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজে ভোট না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন।
বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল। সরাসরি ছাড়াও এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তালিকায় নাম নেই সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনের।
শোনা যাচ্ছিল ড. কামাল হোসেন নির্বাচন না করলে তার মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ঢাকার একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করবেন। কিন্তু সেটিও হচ্ছে না। সারা হোসেনও নির্বাচন করবেন না।
ড. কামাল কেন ভোট করছেন না-এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চায় বিবিসি। জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘মূল কারণ হল-আমার বয়স এখন আশির ওপরে হয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেও যদি এ নির্বাচন হতো তা হলেও হয়তো বিবেচনা করতাম। কিন্তু তখন যে ইলেকশন হওয়ার কথা সেটি তো হয়নি’।
রাজনীতি করছেন, সভা-সমাবেশে যাচ্ছেন, তা হলে নির্বাচন নয় কেন-এমন প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, রাজনীতির ব্যাপারে যতটুকু যা করার তা আমি করব। কিন্তু বয়সের কারণে নির্বাচন করা হয়ে উঠছে না।
ড. কামাল হোসেনের চেয়ে বেশি বয়সেও দেশে বহু রাজনীতিবিদ নির্বাচন করেছেন এবং করছেন। যেমন-জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়া ড. কামালের চেয়ে বেশি বয়সে গতবার নির্বাচন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য হচ্ছে-আমার দৃষ্টিতে আমি সে রকম কাউকে দেখি না যে, সেই ধরনের রাজনীতি করছেন, হয়তো দু'একজন থাকতে পারেন।
মন্ত্রী-এমপি হওয়ার ইচ্ছা নেই জানিয়ে ড. কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি-ব্যক্তিজীবনে আমার নতুন করে কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি চাই মানুষের মুক্তি। যে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, জীবন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমিও মানুষের মুক্তি চাই। ভোটের অধিকার চাই, গণতন্ত্র চাই-চাই মৌলিক অধিকার। মন্ত্রী-এমপি হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।’
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন একদলীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে এ দেশ থেকে চিরতরে বিদায় দেয়া হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে আমরা গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে নিয়ে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেছি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের লক্ষ্য-দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। এরই অংশ হিসেবে সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা ভোটে অংশ নিচ্ছি। শেষ দিন পর্যন্ত ভোটে থাকব। এই নির্বাচনে আমি অংশ নিলাম কি নিলাম না, এটি বড় বিষয় নয়।
জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও ফ্রন্টের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে অংশ নেবেন।
বিশেষ করে ঢাকার আসনগুলোয় সরকারবিরোধী এ জোটের প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইবেন।
জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন প্রার্থী হচ্ছেন না। এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ফ্রন্ট তিনি পরিচালনা করছেন। নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি আগেও বলেছিলেন-ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তিনি ঐক্য করেননি। গণতন্ত্র ফেরাতে জাতির স্বার্থে তিনি এ ঐক্যে শরিক হয়েছেন।
বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং নাগরিক ঐক্য মিলে ১৩ অক্টোবর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭ দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার মুখে ড. কামাল বলেছিলেন-ভোটে প্রার্থী হওয়া কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো পদ পাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই।
শোনা যাচ্ছিল ড. কামাল হোসেন নির্বাচন না করলে তার মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ঢাকার একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করবেন। কিন্তু সেটিও হচ্ছে না।
এ বিষয়ে গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক যুগান্তরকে বলেন, ড. কামাল চূড়ান্তভাবেই নির্বাচন করছেন না। তার মেয়ে সারা হোসেনও নির্বাচন করবেন না। তিনি দেশের বাইরে আছেন। তিনি জানান, গণফোরাম সারা দেশে ১১৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
সুত্রঃ যুগান্তর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বোর্ড মিটিং শেষ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা
- ব্রেকিং নিউজ: বাংলাদেশে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া, ৪৯৭ জন নি*হ*ত, আ*হ*ত ৭৪৭
- আজ ১৮/১২/২০২৪ তারিখ, দেখেনিন আজকের ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ঢাকার অবস্থা ভ*য়া*ব*হ খারাপ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০তে উড়িয়ে দিয়ে আইসিসি রেটিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের, দেখেনিন সর্বশেষ তালিকা
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- অবশেষে দুই দিন পর বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত
- এইমাত্র পাওয়া: খুলে গেল চোখ মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস
- ব্রেকিং নিউজ: নি*হত ৮৫৮ জন, আ*হত ১১ হাজার ৫৫১ জন
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- ব্রেকিং নিউজ: হেলিকপ্টার দু*র্ঘ*ট*না*য় ভারতের সেনা প্রধান নি*হ*ত
- এইমাত্র পাওয়া: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিষিদ্ধ করলো ভারত
- সব জল্পনা কল্পনার অবসান, ঘোষাণা দিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ
- চট্টগ্রামের পরিস্থিতি থমথমে: ব্যাপক সং*ঘ*র্ষ, ১৫ জন আ*হ*ত
- কমলো সৌদি রিয়াল রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত