ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষাক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রভাব

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৯ ০১:৫৮:৩২
শিক্ষাক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রভাব

রাজনীতির মাঠে ব্যবহার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অতীতে কেউ কেউ এসব মিছিল-মিটিং-সমাবেশে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণও করেছে। প্রশ্ন হল, শিক্ষার্থীরা কেন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবে? তাদের তো ক্লাসে থাকার কথা।

যেসব নেতা ছাত্রদের দিয়ে তাদের জনসভা-মিছিল-সমাবেশ করছে, তারাই বা দেশের কী উন্নয়ন করবেন? উন্নয়নের হাতিয়ার তো শিক্ষা। শিক্ষাকে ধ্বংস করে আর শিক্ষার্থীদের বিপথে চালিত করে কখনও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

আজকাল পরীক্ষায় পাস করা খুব সহজ। অনেকে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন খোঁজে। ক্লাসে না থাকলে তো প্রশ্নের প্রয়োজন হবেই। সারা বছর নেতার পেছনে ঘুরে পরীক্ষার সময় এসে প্রশ্ন খোঁজে এই ছাত্ররা। এখন প্রতিটি কলেজ ও স্কুলে রাজনীতির প্রচলন। একেক প্রতিষ্ঠানে একেকটা ভাই।

এসব ভাইয়ের নেতৃত্বে চলে একেকটা কলেজ। তাদের কথা শিক্ষকদের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ! তারা যখন যে সমাবেশে যেতে বলে, সেখানেই হাজির হয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। আর শ্রেণীকক্ষ? সে তো ফাঁকা। বড়জোর গুটিকয়েক শিক্ষার্থী থাকে শ্রেণীতে।

যে কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতেই এমনটা হয়ে থাকে, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। এখন কলেজ ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক ময়দানে। সেখানে চলে রাজনৈতিক স্লোগান আর ক্লাসে চলে পাঠদান। পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটলেও তার প্রতিবাদ করা যায় না অনেক ক্ষেত্রে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক আলাপ করতে করতে একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। কখনও কখনও তা হয়ে ওঠে মৃত্যুর কারণ।

এবার আসা যাক পারিবারিক দিক থেকে বাধা দেয়ার বিষয়ে। দেশে নির্বাচনকালীন সহিংসতা, হামলা, বিক্ষোভসহ নানা ঘটনা ঘটে। তাই পরিবারের কর্তারাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

পরীক্ষা ছাড়া এ সময়টাতে সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, এমনকি স্কুলেও যেতে দিতে চান না মা-বাবারা। তারা চান না সন্তানদের ঝুঁকির মধ্যে স্কুল-কলেজে পাঠাতে। কারণ, বলা তো যায় না কখন কোথায় কী হয়ে যায়! এ ভয়টাও বড় একটি বাধা আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে।

বস্তুত সার্বিকভাবে এটি দেশেরই ক্ষতি। অন্য দেশে নির্বাচন হলে মানুষের মনে থাকে খুশির আমেজ। আর আমাদের দেশে হয় এর উল্টোটি। রাস্তায় আগুন, পুলিশের লাঠিচার্জ, গাড়ি ভাংচুরের মধ্য দিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়।

কবে এ থেকে আমরা মুক্তি পাব সেটাই চিন্তার বিষয়। মানুষ কবে সত্যিকার নির্বাচনের আমেজ নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারবে সেটাই নেতাদের কাছে প্রশ্ন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে রক্ষা করুন। নয়তো মনে রাখবেন, একদিন এই শিক্ষার্থীরাই আপনাদের অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে