ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

কাঁচাবাজারে পাকা প্রতারক, তাহলে কী আপনিও

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৮ ০০:২১:১৯
কাঁচাবাজারে পাকা প্রতারক, তাহলে কী আপনিও

কেটে, কুটে বস্তায় ভরে প্রস্তুতও করেছেন দোকানদাররা। কিন্তু স্যারের বাসা থেকে আসছি বলে ৮টি আস্ত ইলিশ মাছ নিয়ে চম্পট দিলেন সেই কর্মকর্তা। আর কাটা মাছ মাংস, প্রস্তুত করা মুদির দোকানের মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েন বিক্রেতারা।

বড়বাজার কালীবাড়ি রোডের তাপস স্টোরের মালিক তাপস সাহা, মাছ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান, মাংস বিক্রেতা মোহাম্মদ মজনু জানালেন ঘটনার আদ্যোপান্ত।

তাপস সাহা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এক যুবক দোকানে এসে পরিচয় দেন- নাম অজয় রায়। তিনি নির্বাচনের কাজে যশোরে এসেছেন। তাদের একটি দল নির্বাচন নিয়ে কাজ করছেন। তারা পাঁচদিন থাকবেন। এরপর তারা ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ি জেলায় যাবেন। যশোরে নির্বাচনের কাজে কর্মরতদের খাবার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য দায়িত্ব তার ওপর দেওয়া হয়েছে।

তাপস সাহা আরও জানান, ওই যুবক তার দোকানে চাল, ডাল, তেল লবণ, হলুদ, মরিচসহ ২২ প্রকার মালামাল অর্ডার করেন। একই পরিমাণ মালামাল তিনটি পদে আলাদা বস্তায় দিতে বলা হয়। তার কথা মতো মালামাল প্রস্তুত করে বস্তায় ভরে রাখেন তিনি।

তাহস সাহা বলেন, ‘আমাকে ওই যুবক বলেন, আপনি রেডি করেন, আমি আসছি। এরপর বাজারের ভেতর তিনি সবজি ও মাছ মাংস কিনতে যান।’

বড় বাজারের সবজি বিক্রেতা সুশান্ত স্টোরের কর্র্মচারী আবু হাসান জানান, ওই যুবক তার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকার সবজি অর্ডার করেন। অর্ডারকৃত সবজি তাপস স্টোরে পৌঁছে দিতে বলেন। তার কথামতো সবজি পৌঁছে দিয়েছি। টাকা চাইলে বলেন, একটু পরে তাপস স্টোর থেকে নিয়ে নিবেন। পরে আর সেই সবজি নিতে পারেনি।

বড় বাজারের মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন জানান, সুশান্ত স্টোরের এক কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আসে পুলিশ পরিচয়দানকারী ওই যুবক। তিনি জানান নির্বাচনের কাজে এসেছেন। তার বড় রুই মাছ দরকার। এরপর আমার কাছ থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকার রুই মাছ অর্ডার করেন। সেই মাছ কাটার নির্দেশ দেন। তার কথামতো মাছ কেটে রাখি।

শুধু দেলোয়ার হোসেন নয়, আরেক মাছ বিক্রেতা বজলুর রহমানের কাছে ১৪ কেজি ইলিশ মাছ অর্ডার করেন। এরমধ্যে ৮টি ইলিশ মাছ নিয়ে স্যারের বাসায় পৌঁছে দিয়ে এসে টাকা দেওয়ার কথা বলে চম্পট দিয়েছে। মাছের দাম না পেয়ে দিশেহারা এই ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা।

বিপাকে পড়েছে মাংস বিক্রেতা মোহাম্মদ মজনু। তিনি জানান, ওই লোক আমার কাছে এসে ছোট খাসির মাংস খোঁজ করে। এক পর্যায়ে ১৪ কেজি খাসির মাংস অর্ডার করে। মাংস কেটে রেডি করে দিই। তিনি বলেন তাপস স্টোরে মাংস পাঠিয়ে দিন দাম দিয়ে দিবো। পরে আর তার সন্ধান মেলেনি।

বড় বাজারের ব্যবসায়ীদের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দিয়েছে প্রতারক। ইলিশ মাছ বিক্রেতাকে ঠকালেও বাকীরা বেঁচে গেছেন। অভিনব প্রতারণার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারে আলোচনার ঝড় ওঠে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে