ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সিইসির উদ্দেশে যা বললেন মওদুদ

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৭ ২৩:৫০:৪৪
সিইসির উদ্দেশে যা বললেন মওদুদ

সিইসির উদ্দেশে মওদুদ আরও বলেন, যে আস্থা অর্জন করতে পারেনি, সে ওই পদে থাকার নৈতিক কোনো অধিকার নেই।

মঙ্গলবার বিকালে তার নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মনোনয়নপত্র জমা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিতে যোগদান করার উদ্দেশ্য হচ্ছে ধানের শীষে জোয়ার এসে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপি ও গণফোরামে যোগ দেয়ার মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়হীনতা এবং জনপ্রিয়তা নেই সেটাই প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, বিচারপতি আবদুল আজিজ তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তাকে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আত্মসম্মান বোধ থাকলে তিনি অনেক আগে পদত্যাগ করতেন।

বিএনপি নেতা বলেন, নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশনকে সবার আস্থা অর্জন করতে হবে। সরকারি দলের আস্থা এক জিনিস আর বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করা অন্য জিনিস। সুতরাং দেখতে হবে তিনি বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন কিনা। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এ কমিশন একটি কাজও করেননি। তাদের আইন অনুযায়ী, তারা যেটা করতে পারতেন তা তারা করছেন না। তারা একটা নিরপেক্ষ কাজ করে দেখাতে পারতেন যে তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যা কিছু করেছে- তা সরকারের জন্য করছে। তাহলে তাদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা থাকবে কী করে?

তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনও বলেছেন; আমরা বলি এক মাস কেন, তিনি নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগেও পদত্যাগ করতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই। এটা আমরা আগে থেকে বলে আসছি। আজকে যদি ভারত বা অন্য কোনো দেশে নির্বাচন কমিশনারের ওপর অনাস্থা দিত, তাহলে তিনি বিতর্ক ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বলতে হয় আমাদের দেশে সে ধরনের আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন ব্যক্তির খুবই অভাব।

মওদুদ বলেন, বিচারিক আদালতটা চূড়ান্ত আদালত নয়। বিচারিক আদালতে দুই বছর বা ততোধিক দণ্ডপ্রাপ্ত হলে নির্বাচন করতে পারবে না সেটা সঠিক নয়। কারণ যখন কেউ আপিল ফাইল করে সেটা কন্টিনিউশন অব ট্রায়াল টাইম হিসেবে ধরা হয়। বিচারিক আদালত হলো নিম্নতম আদালত। তার ওপর উচ্চ আদালত আছে। এরপর আপিল বিভাগ আছে। আপিল বিভাগ হচ্ছে শেষ আদালত। একজনের শাস্তি বহাল রাখবে কি রাখবে না, তার ওপর নির্ভর করবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি পারবেন না।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উপস্থিত নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, আপনারা নিরপেক্ষভাবে সঠিক এবং সুষ্ঠু দায়িত্ব পালন করলে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এ সময় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাও সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী আবদুল হাই সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা যুবদল দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান টিপু, পৌর যুবদলের সভাপতি শওকত হোসেন ছগির, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ প্রমুখ।

সুত্রঃ যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে