ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

এই মাত্র পাওয়া ‘খালেদাকে নির্বাচনে যেতে মুক্তির পরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে’

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৭ ১৬:০২:১৪
এই মাত্র পাওয়া ‘খালেদাকে নির্বাচনে যেতে মুক্তির পরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে’

মাহবুবে আলম বলেন, গতকাল (২৬ নভেম্বর) ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম এবং আজ আমান উলাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতা আবেদন করেছিলেন এই বলে যে- তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জামিনে আছেন কিন্তু তাদের দণ্ড স্থগিত না করা হলে তারা সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারছেন না। এই বলে তারা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

তিনি জানান, আদালতে আমি (শুনানিতে) বলেছিলাম- ফৌজদারী আদালত বিশেষ করে ফৌজদারি আপিল আদালত অবশ্যই তাদের সাজা (সেনটেন্স) স্থগিত করতে পারেন। কিন্তু কনভিকশন বা তাকে যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সেটির স্থগিত নয়। বিশেষ করে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২(ঘ) উল্লেখ করে বলেছিলাম- সেই সমস্ত ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বা সংসদ সদস্য হতে পারবে না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অন্যূন দুই বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত না হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেলে বলেন, যারা দরখাস্ত করেছিলেন তারা সবাই দণ্ডপ্রাপ্ত। এরা তাদের দণ্ড থেকে মুক্তি লাভ করেনি। এবং তাদের ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়নি। এমতাবস্থায় যদি তাদের দণ্ড স্থগিত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়, তা হবে সংবিধানের পরিপন্থী। কাজেই আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো অবকাশ থাকবে না বলে আমি মনে করি।

খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। এটি সাংবিধানিক বিধিবিধান। যে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কিংবা সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে থাকতে পারবে না, যদি ওই ব্যক্তি অন্যূন দুই বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হয়। এখানে শর্ত হলো ২টি । তা হলো- তিনি যদি দণ্ডিত হন তাহলে পারবেন না। আর ইতোমধ্যে তিনি যদি তার দণ্ড বা সাজা থেকে মুক্তি লাভ করেন তাহলে তার সাজা বাতিলের তারিখ থেকে ৫ বছর তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কাজেই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে দুটি প্রতিবন্ধকতাই রয়েছে। কোনো আদালত তার রায় দিয়ে এই সাংবিধানিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করতে পারে না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, আমাদের আপিল বিভাগ কিংবা হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধান দ্বারা গঠিত তাদেরকে সংবিধান দিয়ে চলতে হবে। কাজেই কোনো আদালত এটাকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।

এ বিষয়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করলেও আমাদের একই বক্তব্য থাকবে। তারা সংবিধান অগ্রাহ্য করতে পারে না বলে আদালতকে জানানো হবে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম।

আপিল বিভাগ এই দণ্ড স্থগিত করতে পারে কি-না জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগ কি করবে সেটা আমি বলতে পারি না। আমার সাবমিশন হলো সংবিধানের ওপরে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া নিম্ন আদালতের দণ্ড স্থগিত করে নির্বাচন করে সংসদে গিয়েছেন এবং মন্ত্রী হয়েছেন সেক্ষেত্রে অন্যদের ক্ষেত্রে এই নজির প্রযোজ্য না হওয়ার কারণ বিষয়ে তিনি বলেন, এরশাদের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। তার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আর ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার মামলায় একই ধরনের সাবমিশন রাখা হয়েছিল কি-না তা আমি বলতে পারব না। এর আগে কেন এভাবে বলা (শুনানি) হয়নি তা আমি জানি না।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলাহ আমানসহ ৫ নেতার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-২ এর সাবেক সাংসদ ও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি আলহাজ মো. মশিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওহাব।

সুত্রঃ জাগো নিউজ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে