ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ধানের শীষ পাচ্ছেন পুরনোরাই

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৭ ১৫:৫৪:৩২
ধানের শীষ পাচ্ছেন পুরনোরাই

এ জন্য এখানে ঐক্যফ্রন্টের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের আলোচনা চলছে। আর সারাদেশের সব আসন বিবেচনায় বিএনপি থেকে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রার্থীর সংখ্যা হাতেগোনা। প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণ করে এবং দলের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

অবশ্য বিকল্প প্রার্থীর তালিকায় নতুন মুখের ছড়াছড়ি। কোনো কারণে মূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে যেন সমস্যা না হয়, এ জন্য ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা এ কথা জানিয়েছেন। তারা আরও বলেছেন, কারাগারে কিংবা দেশের বাইরে থেকে দলের বেশকিছু নেতা নির্বাচন করতে চাইলেও, তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিএনপির হাইকমান্ড তাদের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায়নি।

গুলশান কার্যালয় থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে তিনটি আসনে মনোনয়নের চিঠি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে গতকাল ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র প্রদান শুরু করে বিএনপি। দলের এ শীর্ষনেতা এবার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন। প্রথম দিন বরিশাল, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দলীয় প্রার্থীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিভাগের অনেক প্রার্থীও অবশ্য এদিন চিঠি সংগ্রহ করেছেন। আজ মঙ্গলবার সারাদিন চলবে চিঠি দেওয়ার এ আনুষ্ঠানিকতা।

গতকাল রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি ছাড়া তেমন কোনো চমক নেই। তবে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরামের প্রার্থিতায় চমক থাকছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ গঠিত সরকারের তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দিয়েছেন, তার মনোনয়নও নিশ্চিত। এ ছাড়া জামায়াতকে এখনো পর্যন্ত ২০টি আসনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি আসনেও ছাড় দেওয়া হতে পারে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে থাকা বিকল্পধারার একাংশকে দেওয়া হয়েছে চারটি আসন। তবে দরকষাকষি এখনো চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলবে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি মনোনয়ন দিচ্ছে তুলনামূলক বিচারে উইনেবল প্রার্থীকে। এ কারণেই পুরনো প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় প্রভাব আছে, কারচুপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবেনÑ এমন ভাবনা থেকে সংস্কারপন্থি নেতাদেরও প্রার্থী করা হয়েছে। সংস্কারপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদুল হক জামাল, সরফুদ্দিন সান্টু, ইলেন ভুট্টোসহ বেশ কয়েক নেতা দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত চিঠি সংগ্রহ করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে মনোনয়নপ্রাপ্তদের সংখ্যা এবার খুবই কম। তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা-১১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে এমএ কাইয়ুমের স্ত্রীকে। সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিরিন নাটোর-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন। গাজীপুর-৪ আসন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রয়াত হান্নান শাহর ছেলে রিয়াজুল হান্নানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সদ্যপ্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত মনোনয়ন পেয়েছেন যশোর-৩ আসনে। বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কারাবন্দি লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামানও মনোনয়ন পাচ্ছেন।

তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিএনপি নেতাদের অনেকেই স্ত্রীকে বিকল্প প্রার্থী করেছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী সুরাইয়া আখতার, পটুয়াখালী-২ আসনে শহীদুল আলম তালুকদারের স্ত্রী সালমা আলম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন। এ ছাড়া কয়েক প্রার্থী তাদের সন্তানদের রেখেছেন এ তালিকায়। এ নিয়ে অবশ্য দলের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে যে, দলে এত প্রার্থী থাকতেও কেন বড় নেতাদের পরিবারের সদস্যদের বিকল্প প্রার্থী করা হয়েছে।

রাজশাহীর আমিনুল ইসলাম, পাবনায় শিমুল বিশ্বাস ও ভোলায় হাফিজ ইব্রাহিমের মতো বিতর্কিতরাও মনোনয়ন পেয়েছেন। জোট সরকারের আমলে জঙ্গি উত্থানের জন্য আমিনুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। শিমুল বিশ্বাস গত ১০ বছর ধরে দলে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

সুত্র;dainikamadershomoy

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে