ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পুরোনোদের পাল্লাই ভারী

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৬ ১১:৪৯:১৫
পুরোনোদের পাল্লাই ভারী

গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসনে দলীয় নেতাদের মধ্যে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া শুরু করে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি। এ পর্যন্ত যে তালিকা পাওয়া গেছে, তাতে কমবেশি ৩৮ জন সাংসদ বাদ পড়ছেন বলে জানা গেছে। কেউ নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন, কারও চিঠিতে দুজনের নাম আছে। কোনো কোনো আসনে জোট ও শরিক দলের শক্ত প্রার্থী থাকার পরও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য ৫৪ জন। এর মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আ হ ম মুস্তফা কামাল, আসাদুজ্জামান নূরসহ জ্যেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরাও জোটের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

মনোনয়ন তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দলীয় নেতা হত্যার মামলায় কারাগারে থাকা টাঙ্গাইলের বিতর্কিত সাংসদ আমানুর রহমান খানের (রানা) আসনে তাঁর বাবা আতাউর রহমান খান মনোনয়ন পেয়েছেন। মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল কক্সবাজারের সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। এবার এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী শাহীনা আক্তার চৌধুরী।

এর বাইরে আলোচিত বাদ পড়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ায় তাঁর নাম না থাকাকে বাদ পড়া হিসেবে বিবেচনা করছেন না দলের নেতারা।

২০১৪ সালের ‘একতরফা’ নির্বাচনে ৪৮ জন বাদ পড়েছিলেন। এর মধ্যে ছয়জন ছিলেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। সে তুলনায় এবার বাদ পড়ার সংখ্যা কম।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, এবার মন্ত্রী-সাংসদদের বাদ না দেওয়ার পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছে। এক. মন্ত্রী-সাংসদেরা বাদ পড়লে সাধারণত দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে বাদ পড়েছেন বলে আলোচনার ঝড় ওঠে। ফলে সরকার ও দল সম্পর্কে একধরনের নেতিবাচক প্রচার হয়। এ ছাড়া মন্ত্রী-সাংসদ বেশি বাদ পড়লে মনে হতে পারে সরকার অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছে, যার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে। দুই. এবারই প্রথম মন্ত্রী-সাংসদেরা পদে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ফলে প্রশাসনের ওপর মন্ত্রী-সাংসদের যে কর্তৃত্ব, তা কাজে লাগাতে চায় সরকারি দল। মন্ত্রী-সাংসদ বাদ পড়লেও তাঁরা নিজ পদে বহাল থেকে যাবেন। ফলে নতুন মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিরা কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন, কোন্দল বেড়ে যাবে, এই বিবেচনাও ছিল।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত চারজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জরিপ দেখে মনোনয়ন দেওয়ার কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলেছে। কিন্তু মনোনয়ন দেখে মনে হয়নি যে এতে জরিপের ছাপ আছে। বরং মনে হয়েছে, কিছু ব্যবসায়ী, তারকা ও নানা কারণে প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এটাই বিবেচনায় ছিল। আর কিছু চেনা মুখ বাদ পড়েছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের কারণে।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড সূত্র বলছে, একাধিক আসনে একই চিঠিতে দুজনের নাম রাখার কারণ সান্ত্বনা দেওয়া। আর জোট ও মিত্রদের জন্য কিছু আসন রেখে দেওয়া হয়েছে। আবার দলের কাউকে কাউকে নতুন করে মনোনয়নও দেওয়া হতে পারে। আবার এখন যাঁরা চিঠি পেয়েছেন, তাঁরা শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকবেন, এমন নিশ্চয়তাও নেই। কারণ, প্রত্যেকের কাছ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কাগজে সই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে বাতিল করে নতুন কাউকে সমর্থন দেওয়া হতে পারে। জোট, মিত্র এবং বিএনপিসহ বিরোধী দল থেকে ছুটে এলে যাতে সমর্থন দেওয়া যায়, এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় জোটগত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। জোটের শরিকদের জন্য ৬০ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে।

বড় কিছু নাম বাদ পড়েছেজাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হকের বাদ পড়া নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নানকের বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে দলে নানা ধরনের আলোচনা আছে। কেউ কেউ বলছেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা এতে ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ বলছেন, দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘাতে দুজনের প্রাণহানিও বিবেচনায় ছিল।

আবদুর রহমান, বাহাউদ্দিন নাছিম ও মোজাম্মেল হকের বাদ পড়ার পেছনে দলীয় কোন্দলই মূল কারণ। এই তিনজনের আসনে পাঁচ-সাতজন করে শক্ত প্রার্থী ছিলেন। কেউ কাউকে ছাড়তে চাননি। এ জন্য নতুন মুখ স্থান দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বেশ কয়েকবারই। এবার তিনি দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে। তাঁর ভাই এ কে আবদুল মোমেন মনোনয়ন পেলেই তাঁর খুশি থাকার কথা। তাঁর ভাইকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী ও রেজাউল করিম হীরা বয়সের কারণে বাদ পড়েছেন। মাহবুবুর রহমান ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছিলেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ জমির মালিক হওয়ার খবর বের হয় পত্রপত্রিকায়। একের পর এক সমালোচনার জন্ম দিয়ে বাদ পড়ার তালিকায় ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়। তাই তাঁর মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি আলোচিত হলেও অনুমিতই ছিল।

তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার একটি সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের বাদ পড়া। আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, জাহাঙ্গীর বাদ পড়ার আলোচনার মূল অনুষঙ্গ তাঁর জায়গায় মনোনয়ন পাওয়া এস এম শাহজাদা। পেশায় ব্যবসায়ী শাহজাদার বড় পরিচয় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার ভাগনে।

জাহাঙ্গীর হোসাইন পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে চারবারের সাংসদ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এক-এগারোর পর সংস্কারবাদী নেতার তকমা দিয়ে তাঁর আসনে ২০০৮ সালে গোলাম মাওলা রনি মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ হন। দল ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করে গত নির্বাচনে মনোনয়ন হারান।

জোট-মহাজোটের কারণে কপাল পুড়তে পারেফরিদপুর-২ আসনে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী পাঁচবারের সাংসদ। তাঁকে এবারও দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে এ আসনে জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমির ফয়সাল নির্বাচন করতে পারেন। ফলে মহাজোটের শরিক হিসেবে জাকের পার্টির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরী বাদ পড়বেন। অবশ্য বয়সের কারণে সাজেদা চৌধুরীর বাদ পড়ার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল।

পটুয়াখালী-১ আসনে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাজাহান মিয়াকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার পাঁচবারের সাংসদ। মহাজোটের বড় শরিক হিসেবে জাপার মহাসচিবের আসন মোটামুটি নিশ্চিত। তাই শাজাহান মিয়া শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন হারাতে পারেন।

নীলফামারী-১ আসন থেকে মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি থাকবেন কি না, এই আলোচনা আছে। কারণ, একই আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি। ন্যাপ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে ছিল। সম্প্রতি দলটি এই জোট থেকে বের হয়ে নবগঠিত যুক্তফ্রন্টে যোগ দিয়েছে। এই জোট আওয়ামী লীগের মিত্র। ফলে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে গানিকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

আলোচনায় এসেও ব্যর্থজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। মহাজোটের বড় শরিক দলের প্রধান হিসেবে তাঁর চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজীই মনোনয়ন পাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, এরশাদ ঢাকা-১৭ ও নারায়ণগঞ্জ-১ দুটি আসনই চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দস্তগীরের মনোনয়ন থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, এরশাদ নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে পিছু হটেছেন।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হুসাইনও সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের ফরম সংগ্রহ করে আলোচনায় ছিলেন। কিন্তু এখানে অর্থমন্ত্রীর ভাই আবদুল মোমেন মনোনয়ন পেয়েছেন।

ফেনী-১ আসনে মনোনয়ন পেতে তৎপর ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আলাউদ্দিন আহমেদ (নাসিম)। স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর প্রভাবের কথা আলোচনায় আছে। তবে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এখানে বর্তমান সাংসদ জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন।

কুমিল্লা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনিও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি। আগের সাংসদ আলী আশরাফই মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মুন্সিগঞ্জ-২ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু এ আসনে বর্তমান সাংসদ সাগুফতা ইয়াসমিনকেই রেখে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা-১৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন দুদকের কৌঁসুলি (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতি মামলায় তিনি দুদকের আইনজীবী। কিন্তু মনোনয়ন পাচ্ছেন বর্তমান সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।

একই আসনে একাধিক নামকিশোরগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সাংসদ জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ, বিদেশে চিকিৎসাধীন। তাঁর নির্বাচন করা না-করা নিয়ে একটা দ্বিধা ছিল। গতকাল বিতরণ করা মনোনয়নের চিঠিতে দেখা গেছে, এ আসনে সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে মশিউর রহমান নামের আরেকজনের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দল শেষ মুহূর্তে একজনকে বেছে নেবে।

বরিশাল সদর আসনে বর্তমান সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজ ও জাহিদ ফারুক দুজনের নামই রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছেন জাহিদ ফারুকই।

বরগুনা-১ আসনে বর্তমান সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও জাহাঙ্গীর কবির দুজনের নামই রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত শক্তিতে যিনি এগিয়ে থাকবেন, তাঁরই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

ঢাকা-৫ আসনে বর্তমান সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও কাজী মনিরুল ইসলাম দুজনেরই নাম রয়েছে। জামালপুর-৫ আসনে সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের সঙ্গে মোজাফফর হোসেনের নাম রয়েছে। তবে মনোনয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, হাবিবুর রহমান মোল্লা ও রেজাউল করিম-দুজনই শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ছেন।

এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো কোনো আসনে দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ‘টেকনিক্যাল’ কারণে। সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রার্থী বদলাতেও হতে পারে। অন্য প্রার্থী বেশি শক্তিশালী হলে দলের প্রার্থী বিবেচনা করা হবে।

সুত্রঃ প্রথম আলো

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে