ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

দলকে জিতিয়ে প্রতিপক্ষের জন্য কাঁদেন যিনি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৬ ১০:২১:৪২
দলকে জিতিয়ে প্রতিপক্ষের জন্য কাঁদেন যিনি

বিষয়টি পুরোপুরি তা নয়। গোল করে প্রতিপক্ষকে দেখিয়ে দিতে পারার আনন্দ আছে। কিন্তু পরক্ষণে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের মলিন মুখ দেখেই নাকি কেঁদেছেন বেলফোর্ট। কারণ প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়েরা হতে পারতেন তাঁরই সতীর্থ। কিছুদিন এক দলের খেলোয়াড় হিসেবে তো ছিলেন।

খোলাসা করে বলা যাক। বেলফোর্টকে ট্রায়ালে এনেছিল বসুন্ধরা কিংস। বসুন্ধরার হয়ে মালদ্বীপের ক্লাব নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে নীলফামারীতে খেলেছিলেন প্রীতি ম্যাচও। ৪-১ গোলের জয়ের ম্যাচে গোলও করেছিলেন বেলফোর্ট। কিন্তু বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনের মনে না ধরায় দল বদলের শেষ মুহূর্তে এসে হাইতিয়ান স্ট্রাইকারকে ছেঁটে ফেলে ক্লাবটি। সে সুযোগে হাইতির জার্সিতে ২০১৬ কোপা আমেরিকা খেলা স্ট্রাইকারকে দলে ভেড়ায় আবাহনী। আর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী-বসুন্ধরা মুখোমুখি হওয়ায় বেলফোর্ট পেয়েছেন বসুন্ধরাকে দেখিয়ে দেওয়া ও আবাহনীকে প্রতিদান দেওয়ার সুযোগ। ২-১ গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরেও ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল বসুন্ধরার। কিন্তু শেষ দিকে ওয়ালি ফয়সালের কর্নার থেকে হেডে গোল করে একপ্রকার আবাহনীর হাতে জয় তুলে দিয়েছেন বেলফোর্ট। এর পরেই তাঁর সেই উদ্‌যাপন।

শেষ করে দেওয়ার ইঙ্গিত কি তাহলে প্রতিশোধের? প্রতিবাদ জানালেন ২৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। প্রতিশোধ না বলে বসুন্ধরা ভুল করেছে সেই প্রমাণ করতে পেরেছেন বলেই বেলফোর্টের আনন্দ, ‘আমি শুধু এমন একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। যেদিন আমি প্রমাণ করতে পারব বসুন্ধরা আমাকে দলে না নিয়ে ভুল করেছে।’

নিজেকে প্রমাণ করতে পারার পর যথার্থ উৎসব করেছেন। কিন্তু আবার কাঁদলেন, সেটা কি জন্য? হাইতি জাতীয় দলের জার্সিতে এক ডজনের বেশি গোল করা স্ট্রাইকারের জবাব, ‘আমার গোলটির পর বসুন্ধরার ম্যাচে ফেরার আর সুযোগ ছিল না বললেই চলে। ফলে দেখলাম ওদের বেঞ্চে খেলোয়াড়েরা মুখ কালো করে বসে আছে। যা দেখে কান্না চলে এল।’

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপায় হাইতির হয়ে তিনটি ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন বেলফোর্ট। এই তারকা ব্রাজিলের বিপক্ষে ৪৯ মিনিট, ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৭০ মিনিট আর পেরুর বিপক্ষে ১৯ মিনিট খেলেছিলেন। ২০১০ সালে হাইতি জাতীয় দলে অভিষেক হয় বেলফোর্টের। ৪০ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৪ গোল। এর মধ্যে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৩ ম্যাচ খেলে করেছেন চার গোল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বলিভিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষেও গোল আছে তাঁর। ঢাকায় আসার আগে সর্বশেষ খেলেছেন ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিএসএলের ক্লাব জামশেদপুর এফসি’র হয়ে। ২০১৬ সালে খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকারের কেরালা ব্লাস্টার্সে। জামশেদপুরের হয়ে কোনো গোল না করতে পারলেও কেরালার হয়ে ১৫ ম্যাচে করেছিলেন তিন গোল।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ