ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বিএনপির প্রার্থীদেরও চিঠি দেওয়া শুরু দেখেনিন তারিকা

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৬ ০৮:০৭:২৩
বিএনপির প্রার্থীদেরও চিঠি দেওয়া শুরু দেখেনিন তারিকা

জোট শরিকদের মধ্যে যারা ধানের শীষ মার্কা নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন, তাদেরও আজ থেকে চিঠি দেওয়া শুরু হবে। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সব জেলার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গতকাল এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, অধিকাংশ আসনেই দুজনকে দলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হবে। এতে একজনের মনোনয়ন বাতিল হলেও বিকল্প প্রার্থী থাকবে। গতকাল রাতে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে,

তখন পর্যন্ত ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে সমঝোতা হয়নি বিএনপির; সমঝোতা হয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত অন্য দলগুলোর সঙ্গেও। তবে আজ সোমবার সকালের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ঢাকার আসনগুলোয় বিএনপির মনোনয়নে বেশকিছু রদবদল হতে যাচ্ছে। কয়েকটি আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে ২০-দলীয় জোটের শরিক দল ও ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর নেতাদের; একাধিক নতুন মুখও রয়েছে। অন্যান্য আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে মনোনয়ন বোর্ডকে। কারণ ঢাকায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যারা মনোনয়নপ্রত্যাশী, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক বার্তা রয়েছে।

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, এবারের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক ব্যতিক্রম ছিল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই বলতে যা বোঝায় সবই ছিল। বোর্ডের সদস্যরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভূমিকায় খুবই সন্তুষ্ট। স্কাইপের মাধ্যমে তিনি লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোর্ডের সভাপতিত্ব করেছেন। প্রার্থী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাদের মতামতকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমান ইতোমধ্যে করা চারটি জরিপের ফল সামনে নিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। প্রত্যেক আসনে জরিপে শীর্ষস্থান পাওয়া প্রথম তিন থেকে পাঁচজনকে নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে বগুড়ার আসন নিয়ে আলোচনা শুরু হলে বোর্ডের সদস্যরা জানান, তারা বগুড়ার আসন নিয়ে কথা বলবেন না। এ বিষয়ে তারেক রহমানকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি বলেন, বগুড়া কি বাংলাদেশের বাইরে? কেন কথা বলবেন না? আপনারা মতামত দিন।

এ ছাড়া বরিশাল অঞ্চলের দুটি আসন নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে মনোনয়ন বোর্ডে। এর মধ্যে একটি আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে সংস্কারপন্থি এক নেতার। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির দুই নেতা প্রশ্ন রাখেন, তা হলে দশ বছর ধরে যারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের কী হবে? খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দুটি আসন নিয়েও বিতর্ক হওয়ায় তা অমীমাংসিত রেখেছেন তারেক রহমান। নাটোরের একটি আসন নিয়েও বিতর্ক হওয়ার সেটি অমীমাংসিত রাখা হয়। বৈঠকে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা সবাই একমত হতে না পারায় অর্ধশতাধিক আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৩টি চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা ২-এ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা ৩-এ গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ঢাকা ৫-এ সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৬ সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন, ঢাকা ৮-এ মির্জা আব্বাস, ঢাকা ৯-এ আফরোজা আব্বাস, ঢাকা ১০-এ আবদুল মান্নান, ঢাকা ১৩-এ আবদুস সালাম, ঢাকা ১৪-এ এসএ সাজু, ঢাকা ১৭-এ মেজর জেনারেল (অব) রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা ১৯-এ ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন,

ঢাকা ২০-এ তমিজউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-৪ আসনে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল অথবা রতন চেয়ারম্যান, ঢাকা ৭-এ মোস্তফা মহসিন মন্টু, ঢাকা ১২-এ সাইফুল আলম নীরব অথবা ঐক্যফ্রন্টভুক্ত কোনো দলের নেতা, ঢাকা ১১-এ এমএ কাইয়ুম অথবা সফিউল বারী বাবু, ঢাকা ১৫-এ সিনিয়র কোনো নেতা অথবা মামুন হাসান, ঢাকা ১৬-এ একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন অথবা আহসান উল্লাহ হাসানকে নিয়ে মনোনয়ন বোর্ডে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা ১৮-এ যোগ্য কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি; প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে।

এদিকে নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি আজ সকালে দলীয় মনোনয়ন হাতে নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। জানা গেছে, আজ রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের চূড়ান্ত প্রার্থীদের হাতে দলীয় চিঠি তুলে দেওয়া হবে বিএনপির পক্ষ থেকে।

সুত্রঃ আমদের সময়

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে