প্রতীক বরাদ্দের পরদিন আ’লীগের ইশতেহার: রাজ্জাক

তিনি বলেন, আপনারা জানেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এখন ক্যাম্পেইনের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আছে। ইশতেহার একটা ক্যাম্পেইনের বিষয়। তাই কমিশন যখন প্রতীক বরাদ্দ করবে, পরদিন আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা জাতির সামনে ইশতেহার তুলে ধরবেন।

এবারের ইশতেহারের স্লোগান কি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, ইশতেহারের জন্য আমরা কয়েকটি স্লোগান ঠিক করেছি। ওইসব স্লোগানের ভেতর থেকে যে কোনো একটি স্লোগান আমাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেক্ট করবেন।

এবারের ইশতেহারের মূল লক্ষ্য তুলে ধরে ড. রাজ্জাক বলেন, ইশতেহারের মূল লক্ষ্য, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কের গতিকে আরও বেগবান করতে চাই, ত্বরান্বিত করতে চাই। প্রবৃদ্ধিকে আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা দারিদ্র্যবিমোচন করেছি, দারিদ্র্যতাকে আরও কমাতে চাই। বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে আরও কৌশলী হওয়ার কথা থাকবে ইশতেহারে। আগামীতে আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। দুর্নীতির ব্যাপারে কী কৌশলী হবে, আধুনিক পুলিশ, জনহিতৈষী, জনদরদি, জনবান্ধব, কী ধরনের পুলিশ বাহিনী হবে সেটা আমরা বলার চেষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের তরুণ সমাজকে নিয়ে আমরা কী ভাবছি, তরুণ সমাজকে উন্নয়নের সঙ্গে, দেশ পরিচালনার সঙ্গে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সেটা তুলে ধরা হবে। সামষ্টিক অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাংকব্যবস্থা, ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা নিয়ে কী ধরনের চিন্তাভাবনা আছে সেটাও জনগণের সামনে তুলে ধরব। কৃষি ও শিল্পায়নের উন্নয়ন কীভাবে করব, তার বিস্তারিত আমরা তুলে ধরব।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘জনগণের সামনে নির্বাচনের আগে ইশতেহার নিয়ে যাব। হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নৌকা নিয়ে আমরা জনগণের সামনে যাব। আশা করি, ইশতেহার জনগণের কাছে প্রশংসিত হবে। জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কৌশলকে সাদরে গ্রহণ করবে।

সংবাদ সম্মেলনের পর ইশতেহার উপকমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. অনুপম সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এড আফজাল হোসেন, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সুত্রঃ যুগান্তর