ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর লাশ: ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ সিইসির

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৩ ২১:২২:৪৯
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর লাশ: ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ সিইসির

শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইলেকটোরাল ট্রেইনিং ইন্সটিটিউটে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু বকরের লাশ ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তার আগে গত বুধবার সকালে বিএনপি থেকে ইসিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী গ্রেফতার হওয়া পাঁচ নেতার তালিকা দেয়া হয়েছিল। সেখানে আবু বকরের নাম ছিল।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি প্রথমে জানান, তিনি এ বিষয়ে জানেন না।

তিনি বলেন, পুলিশ ফৌজদারি মামলা করবে। আমরা তো কিছু করতে পারব না। কী ঘটনা ঘটেছে, সেটা তো জানি না। ক্রিমিনাল কেস হবে, ইনভেস্টিগেশন করবে পুলিশ। দেখবে, কীভাবে তাকে মারা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।

এরপর সিইসি বলেন, আবু বকর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেবেন।

বিএনপি থেকে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের যে তালিকা ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে আবু বকরের নাম আছে-বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়ার পর সিইসি বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে নেবে। পুলিশকে এই নির্দেশ দেওয়া হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনগতভাবে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবে এটাই নির্দেশ থাকবে পুলিশের প্রতি।

এর আগে প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি। দিনটি এতই গুরুত্বপূর্ণ দিন যে দিনে জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে। দিনটি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, নিরপেক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, নির্বাচন পরিচালনায় আইন বিধিবিধান জানা দরকার। আপনারা নির্বাচন কীভাবে পরিচালনা করবেন সেটা জানলেও, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের জানার কথা নয়। আপনারা তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবেন।

পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, কারণ তারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা থাকেন মাঠে, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। অনেক সময় তীর্যক কথা বলতে পারে, কিন্তু মনে নেয়া যাবে না। তারা প্রশ্ন করবে, জানতে চাইবে সেটি তাদের বোঝাবেন। জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগের সব রকমের ব্যবস্থা আমরা রেখেছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে আসার কোনো সম্ভবনা নেই জানিয়ে নূরুল হুদা বলেন, ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার যে জটিলতা সেটা নিরসনের একটা উপায় আমাদের বের করতেই হবে। নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট দিতে যে ঝামেলা সেটা থেকে মুক্তি পেতে পারবে। সে কারণেই ইভিএম চালু করতে চাই।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আইনগত কোনো বাধা নেই। আমরা এটা সীমিত আকারে ব্যবহার করব। এটা থেকে পিছিয়ে যাব না।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে, সেখানে অন্তত ৫-৬ দিন আগে আগে মানুষকে বোঝাতে হবে। দেখাতে হবে কীভাবে ভোট দেয়া হয়। ভোটারদের বোঝাতে হবে। বিভিন্ন দল ইভিএমের বিরোধিতা করেন, আমি অনুরোধ করব তাদের প্রতিনিধি আমাদের কাছে পাঠান। তারা এটি এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুক। তাদের লোক দিয়ে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয় পরীক্ষা করুক। তাহলে তাদের সংশয় কেটে যাবে।

আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হলে মামলার কথা জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তাদের ব্যাপার আমার কিছু বলার নেই। আমরা ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করব। এটা করতে হবে। একেবারে সীমিত আকারে ব্যবহার করব। ভুল ভাঙ্গাতে ইসি কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলেও জানান সিইসি।

সুত্রঃ যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে