ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টকে দমনে একজোট হয়েছে ইসি-পুলিশ

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২৩ ১৭:২৬:০২
ঐক্যফ্রন্টকে দমনে একজোট হয়েছে ইসি-পুলিশ

রিজভী বলেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে গতকাল নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা একজোট হয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের আলোচনায় মনে হয়-বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন থেকে কীভাবে দমন করে চাপিয়ে রাখা যায়, তারই মহাপরিকল্পনা হয়েছে সেখানে।

‘তাদের আলোচনায় এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, দলীয় চেতনায় সাজানো পুলিশ কর্মকর্তাদের কোনো নড়াচড়া করাবে না নির্বাচন কমিশন। সরকারের অনুকূলেই সমতল ভূমি নির্মাণ করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে ইসি।’

তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঐক্যফ্রন্টের বিজয় ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রশাসন ও পুলিশে কর্মরত বিতর্কিত ও দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গতকাল নির্বাচন কমিশন বরাবরে আবেদন করলে সিইসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় বলেছেন-কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে না।

তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে বিতর্কিতদের সরানোর আহ্বানের বিপরীতে সিইসির এ ধরনের বক্তব্যে দলবাজ কর্মকর্তাদের আরও বেপরোয়া করে তুলবে।

‘গতকাল নির্বাচন ভবনে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নির্দেশগুলো এবং উপস্থিত কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যে মনে হয় উভয়পক্ষই সরকারের অনুকূলে একতরফা নির্বাচনেরই একটি গোপন ছক তৈরি করে রেখেছে।’

রিজভী বলেন, ক্ষমতা লোভের পরবর্তী উত্তরাধিকার বজায় রাখতেই শেখ হাসিনা ও তার পুলিশের মন পিছুটানে টেনে রেখেছেন। সে জন্য শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বন্দি করার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই সাজানো পুলিশের দাপটে দুঃশাসনের অন্ধকার থেকে জনগণের মুক্তি মিলবে না। জনগণ ভোট দিতে পারবে না, তাদের ইচ্ছার ঈপ্সিত ফল মিলবে না।

‘গতকালের বৈঠক ভোট নিয়ে জনমনে বিষন্নতা ও আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ভোট, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের মৃত্যু নেমে আসছে অতিদ্রুত।

রিজভী বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হলে সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে, বিতর্কিত ও দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজাতে হবে।

সুত্রঃ যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে