ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন শুনানির আবেদন করেননি কোনো আইনজীবী
![ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন শুনানির আবেদন করেননি কোনো আইনজীবী](https://www.24updatenews.com/thum/article_images/2018/11/23/35805496_463850610716909_7768858388284309504_n.jpg&w=315&h=195)
এদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের আদালত চত্বরে ঢুকতে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সংবাদমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দায়িত্বপালনে পুলিশ কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রংপুরের সাংবাদিক মহল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা তার নিজস্ব ফাইলে মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করে আগামী ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেন। পরে কঠোর নিরাপত্তার মাঝে পুলিশ ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মালেক জানান, মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না এবং তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়নি। ফলে জামিন শুনানি হয়নি। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরুর জন্য বিচারক তার নিজস্ব ফাইলে মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করে ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
পিপি আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের আদালত চত্বরে প্রবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে তিনি বলেন বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। তারা দুজনেই জানিয়েছেন সাংবাদিকদের আদালতে প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। আর এ রকম কোনো আদেশ তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেননি।
তিনি বলেন, পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীদের এভাবে পেশাগত দায়িত্বপালনে বাঁধা প্রদান করা তা ঠিক হয়নি। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হননি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ক্ষোভ জানিয়ে রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু বলেন, পুলিশের এ ধরনের আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশাকে প্রশ্নবিন্ধ করে। পুলিশের কোনো কর্মকর্তার এ ধরনের অতি উৎসাহী আচরণ পুলিশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে। আশা করি আগামীতে পুলিশ যেন সাংবাদিকদের এ ধরনের পেশাগত দায়িত্বপালনে বাধা সৃষ্টি না করে। তা হলে পুলিশ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে প্রশ্ন ওঠবে।
রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ আহম্মেদ বলেন, পুলিশ কোনোভাবেই এভাবে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিতে পারে না। সরকার যেখানে স্বাধীন সাংবাদিকতার কথা বলছে তখন কোনো কোনো পুলিশের এ ধরনের আচরণ যেমন সাংবাদিকতা পেশার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তেমনি সরকারের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম পিয়াল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদালত চত্বরে সংবাদ সংগ্রহে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি সেখানে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা এ ধরনের কার্মকাণ্ড নিজের পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। একই সঙ্গে এ ধরনের আচরণ বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর রংপুরে দায়ের করা মানহানির মামলায় গ্রেফতার হন ব্যারিস্টার মইনুল। পরে ২৫ অক্টোবর তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে আদালতে নথি না আসায় শুনানি স্থগিত করে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক। ওই মামলার জামিন শুনানির জন্য ৩ নভেম্বর ঢাকা থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে। পরে ৪ নভেম্বর শুনানি শেষে মামলার বাদী উপস্থিত না থাকায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
সুত্রঃ যুগান্তর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- এক নজরে দেখেনিন কে কত টাকা পুরস্কার পেলেন
- বিপিএল মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছেন দুই জন
- ১৪৪ ধারা জারি
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত সারজিস আলম
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও দেশজুড়ে ভাঙচুরের পর আজহারী স্ট্যাটাস
- গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ সাকিব
- বিপিএল শেষ, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে দুই পরিবর্তন
- বিপিএল ফাইনাল ম্যাচের সময় সূচি
- ফাইনাল ম্যাচের জন্য ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জন্য খুলনা টাইগার্সের সম্ভাব্য সেরা একাদশ
- ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ডিপজল গ্রেপ্তার