ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ইভিএম হ্যাক করার চ্যালেঞ্জ দিলেন কে এইঃ ফয়সাল আলীম

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২২ ২২:৩৫:১৩
ইভিএম হ্যাক করার চ্যালেঞ্জ দিলেন কে এইঃ ফয়সাল আলীম

একই কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল সেমিনারে র্যাশবেরি পিআই অপারেটিং সিস্টেমের একটি ভোটিং মেশিনে ভোট গরমিলের নমুনা দেখান। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই অপারেটিং সিস্টেমের ইভিএম ব্যবহৃত হবে বলে জানান তিনি।

সেমিনারে বিএনপির ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) সদস্যরা একটি ভোটিং মেশিনে সোর্স কোড পরিবর্তন করে দুইটি উপায়ে ভোটের (নমুনা) ফলাফল গরমিল করে দেখান। তারা বলেন, যদি এই মেশিনের ফলাফলে গরমিল করা যায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের ইভিএমেও গরমিল করা সম্ভব।

ইভিএম নিয়ে তাবিথ আউয়ালের প্রেজেন্টেশনের পরপরই এক বক্তা জিজ্ঞেস করেন, আপনারা এই মেশিন হ্যাক করে দেখালেন, আপনারা কী নির্বাচন কমিশনের ইভিএম হ্যাক করতে পারবেন? সেই ইভিএম কি হ্যাক করা সম্ভব? উত্তরে ফয়সাল আলীম বলেন, ‘সম্ভব। যদি নির্বাচনের দুই দিন আগে আমাদের কাছে ইভিএম দেয়া হয়, তাহলে আমরা এর সোর্স কোড ও লজিক বদলে ভোটে গরমিল করাতে পারবো।’

সেমিনারের প্যানেল ডিসকাশনের অন্যতম সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে হলে একজন নাগরিকের আঙুলের ছাপের প্রয়োজন। তবে কোনো কারণে কারও আঙুলের ছাপ যদি মেশিনে না বসে তাহলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপ নিয়ে তিনি নিজের ভোট দিতে পারবেন। আমরা হিসাব করে দেখেছি, একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার যদি চান তাহলে তার আঙুলের ছাপ দিয়ে একটি ইভিএমে সারাদিনে ৯৬০টি ভোট দিতে পারবেন।

তাবিথ দাবি করেন, ইভিএমে প্রি-প্রোগ্রাম সেট করে যে কোনো কেন্দ্রের সোর্স কোড পরিবর্তন করে যে কোনো ফলাফল আনা সম্ভব। ভোট দেয়ার সময় যার যতো ভোটই দেখা যাক, কিন্তু প্রিন্টের একদম আগ মুহূর্তে অথবা প্রিন্টের সময় ফলাফলে গরমিল করা যায়।

সেমিনারে প্যানেল ডিসকাশনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএনপির সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, অ্যাবের যুগ্ম-মহাসচিব প্রকৌশলী তানভীরুল হাসান তমাল, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান, অ্যাব সদস্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।

সেমিনারে বক্তারা ইভিএমের সময়ভিত্তিক কারচুপি, সংখ্যানির্ভর কারচুপি, ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলনির্ভর কারচুপির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা দাবি করেন, বর্তমান পদ্ধতিতে ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সাহায্য নিয়ে ভোট প্রদান করা সম্ভব। এর ফলে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার সুযোগ স্পষ্ট হয়। ইভিএমে কোনো পেপার টেন নেই। ফলে ভোট পুনরায় গণনার সুযোগ নেই। সব ইভিএম মেশিন থেকে সংগৃহীত ভোটের চূড়ান্ত গণনা প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট ও স্বচ্ছ নয়।

সুত্র;জাগোনিউজ24

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে