ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

হি হি শীতে যেতে হবে ভোটে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২২ ০৮:৫৯:৩৩
হি হি শীতে যেতে হবে ভোটে

আসলে ইসমাইল ঝাঁপি নামানোর সুযোগই পান না। এক দল আসছে, আলোচনার খই ফুটছে। তর্কবিতর্ক চলছে। আবার একদল চলে যাচ্ছে। আসছে আরেকটি দল। অগ্রহায়ণের হালকা শীতে উষ্ণ আলোচনা। ভোটের দিন-কাল-ক্ষণ যত এগিয়ে আসবে, ইসমাইলের মতো চায়ের দোকানগুলোর সামনে তপ্ত আলোচনা আরও উত্তাপ ছড়বে।

একইভাবে শীতের তীব্রতাও বাড়বে। ৩০ ডিসেম্বর এই শীত হাড় কাঁপিয়ে দিতে পারে। সংসদ নির্বাচনের এই দিনে থাকতে পারে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছ থেকে এমন তথ্যই মিলছে।

২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসটিতে প্রায় সারা দেশের ওপর দিয়ে হাড় কাঁপানো শীতের ঝাপটা বয়ে গিয়েছিল। কাঁপন ধরানো এই শীত পড়তে শুরু করে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে। তৃতীয় সপ্তাহের দিকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ২৭ ডিসেম্বর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করে উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরের দিনগুলোতে শীত আরও জেঁকে বসতে থাকে। এর সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হতে থাকে আকাশ। ২৯ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকাতে তাপমাত্রা কমে হয় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও তেঁতুলিয়ায় শীতের পরিমাপ ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর ৮ জানুয়ারি ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এবারও ডিসেম্বর ভোটের আগে পরের দিনগুলোতে রাজনীতির উত্তাপে শীতের কাঁপন থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে দেশের সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারিতে এটি কমে হয় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। ডিসেম্বরে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হতে পারে। এর মধ্যে উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একাধিক শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে। এর সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। নদী অববাহিকায় কুয়াশার মাত্রা বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি হলো দেশের শীতলতম মাস। প্রতিবছর এই দুটি মাসে শীতের তীব্রতা থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ দিনের ব্যাপ্তি কমে যায়। সূর্য আলো দেয় প্রতিদিন মাত্র ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। এর সঙ্গে কুয়াশা পড়লে শীত আরও বেশে পড়ে। এ বছরও এর ব্যত্যয় হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিনটি হবে বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১৬ পৌষ। এ সময় শৈত্যপ্রবাহের কারণে পুরো রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে বেশ ঠান্ডা পড়তে পারে। সিলেট বিভাগেও একই অবস্থা থাকতে পারে। তবে সুনির্দিষ্ট করে আগাম বলা না গেলেও ভোটের দিন শীত পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। সুত্রঃ প্রথম আলো

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে