ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সমালোচনা জয়ের মিশনে মাশরাফি

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২১ ২০:২৭:৪৫
সমালোচনা জয়ের মিশনে মাশরাফি

কোচের এইরকম তিক্ত কথা অবশ্যই তাকে কিছুটা হলেও চিন্তিত করেছিলো। এরই মধ্যে চিরচেনা হাটুর ব্যথা আবার মাথাচড়া দিয়ে উঠে। যার ফলস্বরূপ ২০১১ বিশ্বকাপে নিরব দর্শকের কাতারে মাশরাফি। সাথে তাকে হারাতে হয় ক্যাপ্টেন্সিও।

তবে এবারের ইনজুরি থেকে ফিরে আসা মাশরাফি হতে চলেছিলেন পূর্বের থেকে সম্পূর্ন আলাদা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দলে ফিরে আসেন ক্যাপ্টেন হিসেবে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। আর হয়ে যান ১৬ কোটির প্রাণের স্পন্দন। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে মাশরাফির হাত ধরেই এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয় মাশরাফির বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে মাশরাফি এসেই দলকে শক্তিশালী দল হিসেবে পুরো বিশ্বে পরিচিতি লাভে সহায়তা করেন। এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিলো।

কিন্তু হঠাৎ করেই নমিনেশন কিনেন মাশরাফি। আর এই নমিনেশন কেনা নিয়েই শুরু হয় তাকে নিয়ে যত সমালোচনা। আসন্ন ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনের থেকে এমপি পদে লড়াই করবেন মাশরাফি। দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যে ব্যাক্তি ইনজুরির জন্য ১১ বার মাঠের বাহিরে এবং সাতবার অপারেশনের পরেও দেশের ক্রিকেটকে এক মর্যাদার স্থানে নিয়ে এসেছে। আর আমরা তাকে নিয়েই সমালোচনা করছি।

সবসময়ই আমরা পাশ্ববর্তী ভারতের সাথে আমাদের ক্রিকেট টিমের তুলনা করি। কেউ কি ভেবে দেখেছেন কে এই তুলনা করার স্থানে আমাদের নিয়ে এসেছে। অবশ্যই তিনি মাশরাফি। ভারতের চারজন প্লেয়ার আছেন যারা রাজনীতির সাথে জড়িত। আমাদের মাত্র একজন যুক্ত হতে যাচ্ছে আর আমরা তাকে নিয়ে সমালোচনা করছি। আমাদের উচিত তাকে সাহায্য করা। যেনো তার জন্য সবকিছু সহজ হয়।

আর মাশরাফি অনেক আগেই ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশকে কিছু দেবার জন্যই তিনি তার সেই চিন্তা থেকে দূরে এসে ক্রিকেটকে নিয়ে ভেবেছিলেন। কেবল ভাবেনইনি অনেক কিছু দিয়েছেনও বটে। তাকে নিয়ে আমাদের সমালোচনা করাটা মানায় না।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে