ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সদ্য সংবাদ

ড. কামাল ছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ ফেরত দেওয়ার কেউ নেই : রেজা কিবরিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ১৮ ২৩:৩৯:২৭
ড. কামাল ছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ ফেরত দেওয়ার কেউ নেই : রেজা কিবরিয়া

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার এই আদর্শ থেকে আমি সরিনি। আমি মনে করি এই মুহূর্তে সারা বাংলাদেশের মানুষ, ড. কামাল হোসেনের যে দিক নির্দেশনা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্যে এ দিক নির্দেশনা সবার দরকার। আমাদের সবার দরকার। অনেক জায়গায় আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে, অর্থনীতিতে, আইনের শাসনের ব্যবস্থার ব্যাপারে, আইনের শাসনটা দেশ থেকে চলে যাচ্ছে অনেকটা, তো অনেক ব্যাপারে আপনারা বুঝতে পারছেন যে, প্রেসের ফ্রিডম, আপনার যে স্বাধীনতা এটা খর্ব করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটা আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়, এটা আমি অ্যাকসেপ্ট করতে পারছি না।’

কিবরিয়াপুত্র বলেন, ‘আমি এ দেশের নাগরিক আমার অন্যকোনো দেশে থাকার ইচ্ছা নেই। আমি বাংলাদেশে থাকব এবং আপনাদের সাথে থাকব। আমি এই রূপের বাংলাদেশ দেখতে চাই না। আমি চাচ্ছি একটা নতুন বাংলাদেশ। আমি যে বাংলাদেশ চাচ্ছি আমার মনে হয় না যে, আর কারও স্কোপ আছে ওই ভিশনে আমাদেরকে ফেরত নেওয়ার, যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, ওই স্বপ্নে ফেরত নেওয়ার মতো আর কেউ নেই ড. কামাল হোসেন ছাড়া।

‘দেশের জন্য কাজ করতে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করবো’ বলেও এ সময় জানান রেজা কিবরিয়া।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া প্রসঙ্গে রেজা বলেন, ‘আমি প্রথমে জানাতে চাই সবাইকে আওয়ামী লীগ একটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে আসতে রাজি হয়েছে, আমরা এটাতে সবাই খুব খুশি। দেশের মানুষ চায় যে নির্বাচনে ভোট হবে যে নির্বাচনে ভোটের প্রতিযোগিতা হবে সে ধরনের নির্বাচন দেখতে চাই। আওয়ামী লীগ আশা করি সে পথে এখন এসেছে, সবাই আমরা এটাতে খুব খুশি, আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১০০ পার্সেন্ট নির্বাচন কোনো দেশে হয় না সেটা ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের টার্গেট হবে ১০০ পার্সেন্ট সুষ্ঠু করা। ওই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারব কি না, আমেরিকা পৌঁছেছে কিনা সন্দেহ আছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্যটা হবে, ওই টার্গেটটা, ১০০ পার্সেন্ট, যতটুকু পারি। প্রত্যেক মানুষের ভোট যেন আমরা ঠিক মতো যাচাই করতে পারি।

এ ব্যাপারে আপনাদের (সাংবাদিক) ভূমিকা হলো গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যদি ফেইল করেন আমাদের দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার। আপনাদের মিডিয়ার উপর আমি সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব দিচ্ছি। আমি জানি আপনাদের উপর অনেক হুমকি আছে, অনেক ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে আমি জানি। সেটা ভুলে যাবেন না একাত্তরেও অনেক শক্তিশালী একটা ফোর্স আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ছিল কিন্তু ওই ফোর্সটাকে আমরা মোকাবিলা করতে পেরেছি। এখন আমাদের মনে হয় সে ধরনের একটা সংগ্রাম করতে হবে, মানুষের ভোটের অধিকার ফেরত দেওয়ার জন্য।’রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি আশংকা করি, অনেক কিছু হতে পারে। জনগণের যখন একটা স্পিরিট যখন উঠে আসে তখন এটা রোধ করার মতো ক্ষমতা ইয়াহিয়া খানের ছিল না, আমার মনে হয় না, এখনো এই ধরনের ক্ষমতা কারও আছে, এতটুক বলতে চাই।’

বাবা খুনের বিষয়ে কারো সঙ্গে আপোষ নয় জানিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ছেলে বলেন, ‘বেশি কিছু বলতে চাই না, শুধু বলতে চাই যে, আমি আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কারও সাথে আপোষ করব না। যে দলের হোক না কেন। আমার দলের হোক, আরেক দলের হোক আই ডোন্ট কেয়ার। আমি চাই আসল মদদদাতারা আসল খুনীরা, ওদেরকে চিহ্নিত করা এবং ওদের শাস্তি যেন হয়। সো বিএনপিতে যদি থাকে আওয়ামী লীগে যদি থাকে যেকোনো পার্টিতে যদি থাকে দ্যাটস ফাইন। আমি চাই, সত্যটা চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘খেয়াল করবেন আব্বা মারা গেছে ২৭ জানুয়ারি ২০০৫, দুই বছর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, ঠিক আছে তারা কাজটা করতে পারেনি। দুই বছর ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তারাও করতে পারেনি। সাড়ে ৯ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ছিল এবং তারা একটা সুষ্ঠু তদন্ত করার মতো কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’

সুত্রঃ আমাদের সময়

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে