ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

অলিকে ঠেকাতে কে হবেন নৌকার মাঝি

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ১৭ ১৮:৫৭:৩৫
অলিকে ঠেকাতে কে হবেন নৌকার মাঝি

যেখানে বর্তমান সংসদ সদস্য, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে প্রচারণাও করছেন।

এদিকে, কর্নেল (অব.) অলি আহমদের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য বানাতে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড ক্লিন ইমেজের যোগ্য প্রার্থী খুঁজছেন। যিনি আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হবেন। ৬ বারের সংসদ সদস্য কর্নেল অলি আহমদ যাতে আর এই আসনে ফিরতে না পারেন।

চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রিহ্যাব চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবু আহমদ জুনু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মামুন উল হক চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসিফ, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও এমএ সাঈদ, সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাসুদ আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপ-সচিব রীতা সেন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আকতার চৌধুরী, জেলা পরিষদ মহিলা সদস্য শাহিদা আকতার জাহান, উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান শিবলী, একেএম নাজিম উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, আফতাব মাহমুদ, মো. কায়কোবাদ ওসমানী, ড. নাছির উদ্দিন।

১৯৭৬ সালে চন্দনাইশ থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাগদলের প্রয়াত ব্যারিস্টার মাহবুবুল কবির চৌধুরী। পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রদূত হলে উপ-নির্বাচনে ১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মত বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও জাতীয় পার্টির শাসনামলে ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন আহমেদ ২ দফায় ৯ বছর সংসদ সদস্য ছিলেন।

পরবর্তীতে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম। এরপর থেকে চন্দনাইশের উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ, বিভিন্ন ব্রিজ-কালভার্ট এবং সাঙ্গু নদীর ভাঙ্গনরোধে উন্নয়নকাজ করেছেন।

অন্যদিকে, ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশ। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এই নেতা। যিনি বর্তমানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন, তাকে বিজয়ী করাই হবে আমাদের কাজ।’

অন্যদিকে, আবাসন ব্যবসার মাধ্যমে যিনি ইতিমধ্যে সকলের সুনাম অর্জন করেছেন, সেই আবদুল কৈয়ুম চৌধুরীও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। যিনি রিহ্যাব চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘২০২১ ও ২০৪১ সালের যেই মিশন ও ভিশনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেই ভিশনকে পূর্ণরূপ দিতেই চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও চেয়েছেন নতুনত্ব ও পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে যোগ্য মনে করে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ করে দেন, তাহলে অবশ্যই জয়ী হবো এবং চন্দনাইশের উন্নয়নের কাজ করবো। পাশাপাশি এই আসন থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার সঙ্গে কাজ করবো।’

চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু বাংলানিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে চন্দনাইশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনেকেই দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। দলের জন্য যারা নিবেদিত, তাদেরকেই মনোনয়ন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেননা, তিনি সারাদেশের সকল নেতাকর্মীর খোঁজখবর রাখেন।’

সু-সময়ে নয়, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যারা থাকবেন এবং দলের জন্য একনিষ্ট হয়ে কাজ করবেন, তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানান আবু আহমদ।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে মামুন উল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘তরুণরাই ভবিষ্যতের কাণ্ডারী। সেই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে তরুণ ও শিক্ষিতদের প্রাধান্য দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকেই আমি তরুণদের নিয়ে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় চট্টগ্রামে যে টানেল নির্মিত হচ্ছে, সেটি আনোয়ারার সঙ্গে যুক্ত হবে। এই টানেল চন্দনাইশের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে একটি ইকোনমিক জোন করা হবে। এর মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।’

প্রধানমন্ত্রী যদি মনোনয়ন দেন তাহলে পরিবেশ ও শিল্পবান্ধব চন্দনাইশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মামুন।

সুত্রঃ- বাংলা নিউজ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে