ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

নবম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় হঠাৎ ৮ ছাত্রী অজ্ঞান

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ১৫ ২২:৩১:০৮
নবম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় হঠাৎ ৮ ছাত্রী অজ্ঞান

বিকালে চিকিৎসক জানিয়েছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এক ছাত্রী বমি করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে দেখার পর অন্য ৭ জন উদ্বিগ্ন হয়ে জ্ঞান হারায়। বর্তমানে সবাই সুস্থ আছে।

শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব তাসলিমা সিদ্দিকা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চৌধুরী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের ২০২ নম্বর কক্ষে কয়েকজন ছাত্রী নবম শ্রেণির (ভোকেশনাল) সমাপনী কৃষি শিক্ষা পরীক্ষায় অংশ নেয়।

দুপুর ১২টার দিকে শেষ ঘণ্টায় সুমাইয়া আকতার সিমা নামে এক ছাত্রী জানায়, তার মাথা ঘুরছে। এক পর্যায়ে সে বমি করার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী জানান, উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে তার এ সমস্যা হয়েছে। সিমার এ অবস্থা দেখে মিম নামে একজন জ্ঞান হারায়। দু’জনের এ অবস্থা দেখে অন্য ছাত্রীদের মাঝে আতংক দেখা দেয়। পরে পরীক্ষার্থী শাকিলা, সুমাইয়া, আশা, নাছিমা, নিপা ও সুমাইয়া আক্তার সুমনার একই অবস্থা হয়।

শিক্ষকরা দ্রুত তাদের অ্যাম্বুলেন্সে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীদের ভর্তির পরামর্শ দেন। ভর্তির পর স্যালাইন ও অন্য ওষুধ দেয়ার পর বিকালে ছাত্রীরা সুস্থ হয়।

এতে অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিলেও তাদের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সবাই চিন্তিত।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেলোয়ার হোসেন নয়ন ও কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহুল আমিন জানান, প্রথম অসুস্থ ছাত্রী রাতে বাড়িতে ফুসকা খেয়েছিল। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় পরীক্ষার হলে সে বমি করে ও পেট ব্যথা হয়। সে উদ্বিগ্ন হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে দেখে পর্যায়ক্রমে অন্য ৭ ছাত্রীর বমিভাব হয় এবং সবাই জ্ঞান হারায়। ভর্তির পর তাদের স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য ওষুধ দেয়া হয়। বিকালের মধ্যে সবার জ্ঞান ফেরে। বর্তমানে তারা সুস্থ। অভিভাবকরা তাদের বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সলিমুল্লাহ আকন্দ জানান, মানসিক আতংক (এইচসিআর) জনিত কারণে এমনটি হতে পারে।

ছাত্রী সুমাইয়া আকতার সিমা জানায়, দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা দেয়ার পর তার বমিভাব ও পেট ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারায়। তার এ অবস্থা দেখে অন্য ছাত্রীদের একই অবস্থা হয়েছিল।

আরেক ছাত্রী সুমাইয়া আকতার সুমনা জানায়, অন্যদের হাসপাতালে রেখে কেন্দ্রে আসার পর সে অসুস্থ হয়। পরে তাকেও ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ আছে। ওই ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব শিক্ষক তাসলিমা সিদ্দিকা জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে