ভোটে না এলে ভাসানীর দলের মত অস্তিত্বহীন হবে: তোফায়েল
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “মাওলানা ভাসানী সাহেব বলেছিলেন, ’৭০ এর নির্বাচনে ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। কেউ ভোটের বাক্সে লাথিও মারেনি, স্বাধীনও হয়নি।
“কিন্তু সেই সময় বঙ্গবন্ধু ম্যান্ডেট পেয়ে বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। সুতারাং যারা নির্বাচন করবে না তারা একদিন এই মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক দলের মত অস্থিত্বহীন হয়ে থাকবে।”
কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ সব রাজনৈতিক দল এবার নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ না নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “ওই নির্বাচনটা কোনো নির্বাচনই ছিল না। এটি এক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।”
রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ ঘিরে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- সাংবাদিকদের থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “২০১৩, ১৪, ১৫ সালে দেশে যেসব নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল সেসব ঘটনায় অনেকের নামে মামলা আছে। যার কারণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হয়ত কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের নামে মামলা নেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে না।”
বাহাত্তরের সংবিধানকে পৃথিবীর ‘শ্রেষ্ঠ সংবিধান’ দাবি করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, “সেই সংবিধানকে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। যেসব বিষয় যুক্ত করা হয়েছিল এর অধিকাংশ বাদ দিয়ে আমরা ’৭২ এর সংবিধানে ফিরে এসেছি, তবে বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরিখে দু-একটি জিনিস করা সম্ভব হয়নি। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে আমাদের বিরুদ্ধে জনমত চলে যেতে পারে।”
নির্মূল কমিটির দাবির প্রেক্ষিতে ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস করার পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় এলে সংসদে এই প্রস্তাব উত্থাপনের আশ্বাস দেন তিনি।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, “আজ আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে, যারা বাহাত্তরের সংবিধানকে হত্যা করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে, ড. কামাল হোসেন আমাদের সংবিধান প্রণেতা তিনি তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।”
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “আমি কাউকে খাটো করার জন্য বলছি না। বাস্তবতার জন্য বলছি, আমাদের মধ্যে অনেকেই বলে থাকেন যে, ড. কামাল সংবিধান প্রণেতা। কথাটা সঠিক নয়।
“উনি সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি, উনি ৩৪ জনের একজন ছিলেন। প্রত্যেকেই সংবিধান প্রণয়নে অবদান রেখেছেন। তাদের শীর্ষে ছিলেন বঙ্গবন্ধু।”
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তোফায়েল আহমেদ।
বিচারপতি মানিকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন চুপ্পু, জাতীয় জাদুঘরের চেয়ারম্যান চিত্রশিল্পী হাশেম খান এবং খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বক্তব্য দেন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিপিএল মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছেন দুই জন
- এক নজরে দেখেনিন কে কত টাকা পুরস্কার পেলেন
- ১৪৪ ধারা জারি
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত সারজিস আলম
- বিপিএলের ৮ ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহ, ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও দেশজুড়ে ভাঙচুরের পর আজহারী স্ট্যাটাস
- বিপিএল ফাইনাল ম্যাচের সময় সূচি
- ফাইনাল ম্যাচের জন্য ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ সাকিব
- কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জন্য খুলনা টাইগার্সের সম্ভাব্য সেরা একাদশ
- ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ডিপজল গ্রেপ্তার