খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ‘১ মিনিট’

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, ওই ১ মিনিট সময়ের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে সংলাপ বিষয়ে বার্তা দিতে পেরেছেন মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের আদালতে ১ মিনিট কথার বিষয়বস্তু সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার এক আইনজীবী জানান, ‘সংলাপের বিষয়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে যা বার্তা দেওয়ার তা ১ মিনিটেই মির্জা ফখরুল ইসলাম দিয়ে দিয়েছেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে গাড়ীতে করে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
সেখান থেকে সারাসরি তাকে কারাগারের ভিতরের আদালতে একটি হুইল চেয়ারে করে হাজির করা হয়। মামলার শুনানি চলার সময় দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদালতে হাজির হন। তিনি আদালত কক্ষে ঢুকে একটি চেয়ারে বসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় থাকেন।
বেলা সোয়া ১টায় মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে আদালত কক্ষে ৩০ মিনিট মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার অনুমতি চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মির্জা ফখরুল।ওই সময় বিচারক বলেন, ‘এটা আমার এখতিয়ারের বাইরে। আপনারা দেখা করবেন না কি-করবেন এ বিষয়ে আমি কোনো আদেশ দিতে পারব না। এ ছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মামলার কেউ না।’
তখন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘তাহলে আমাকে একা অনুমতি দিন।’ তখন বিচারক বলেন, ‘এটাও আমি দিতে পারব না।’ ওই সময় সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এর আগে আমরা অন্যান্য আদালতে অনেকবারই দেখা করার অনুমতি পেয়েছি।’ উত্তরে বিচারক বলেন, ‘আইন আমাকে সুযোগ দেয়নি। আমি দিতে পারব না’
এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করে নেমে যাওয়ার সময়ই মির্জা ফখরুল পুলিশ বেষ্টিত খালেদা জিয়ার সামনে যান এবং ১ মিনিটের মতো সময় কথা বলার সুযোগ পান। এরপরই খালেদা জিয়াকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে কারাগারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে মির্জা ফখরুল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় অন্যায়ভাবে জোর করে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, পিজি হাসপাতালে যারা খালেদা জিয়ার মেডিকেলের দায়িত্বে ছিলেন, তারা তাকে ছাড়পত্র দেননি এবং তারা বলেছেন, “তিনি খুব অসুস্থ। এ অবস্থায় তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়, তার চিকিৎসা চলছে”।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা ছাড়পত্র দিয়েছেন বলে আমরা জানি না। শুনেছি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে কাউকে দিয়ে ছাড়পত্র লিখিয়ে নিয়েছে। এটা সম্পূর্ণভাবে আনইথিকেল কাজ।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) দেখেছি, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। হুইল চেয়ারেও তিনি ঠিকমতো বসতে পারছেন না। আমরা আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েও দেখা করার অনুমতি পাইনি।’
রাজনীতি - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ ৫ জন
- প্যারোলে মুক্তি পেল আওয়ামী লীগ নেতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- সুখবর: দীর্ঘ অপেক্ষার পর আরব আমিরাতের ভিসা চালু
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- শেখ হাসিনা ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের তুলসীর বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার