ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

অনেক প্রশ্নের সমাধান দিলো বাংলাদেশের টেস্ট দল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ০৪ ১১:৩০:০৬
অনেক প্রশ্নের সমাধান দিলো বাংলাদেশের টেস্ট দল

‘ইনফরমেশন’ যে দুজনের জন্য ছিল হতাশার তা- তাদের অভিব্যক্তিতে অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা জানা গেল অভিষেক টেস্টের স্কোয়াড দেখে। আসলে বাংলাদেশ এখন কোনদিকে হাঁটছে?

এক পেসার তত্ত্ব ওয়ালশ তার দীর্ঘ ১৩২ টেস্টের ক্যারিয়ারের দেখছেন কি না সন্দেহ। ইংলিশ হেড কোচ স্টিভ রোডসের চিন্তাতেও যে এটা নেই তা শতভাগ সত্যি। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং পরামর্শক নেইল ম্যাকেঞ্জি তো এভাবে চিন্তাই করতে পারেন না। কারণ এমন ক্রিকেট তত্ত্ব দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসেও নেই। তাহলে হাতুরাসিংহের অবর্তমানে এ তত্ত্বটা কেন আবার ফিরিয়ে আনল টিম ম্যানেজম্যান্ট

অবশ্যই প্রভাবশালী এমন কোনো ব্যক্তি রয়েছেন পরিকল্পনায়, যেটা উপেক্ষা করতে পারেননি ভিনদেশী ওই কোচরাও। আসলে এ ম্যাচের একাদশ দেখলে মনে হবে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে এগিয়ে যাচ্ছে না বরং উল্টাপথেই হাঁটছে। এক পেসার, চার স্পেশালিস্ট বোলার নিয়ে অন্তত এ যুগে কেউ টেস্টম্যাচ খেলে না। জিম্বাবুয়ের মতো দলকে এত ভয় পাওয়ারই বা কী আছে। দুই পেসার নিলে একজন ব্যাটসম্যান কমবে এই তো। তাতে কী এত দুশ্চিন্তা?

আরিফুল ও মাহমুদুল্লাহও বল করেছেন। আসলে এ দু’জন অকেশনাল বোলার। স্পেশালিস্ট তো অবশ্যই না। সিলেটের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের আরো একজন পেস বোলারের স্পষ্ট প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে। উইকেট যতই স্পিন বান্ধবই হোক না কেন, অন্তত দুই পেসার ছাড়া টেস্টম্যাচ খেলা যায় না!

মোস্তাফিজ ছাড়াও আরো দুই পেসার শফিউল ও খালেদ আছেন স্কোয়াডে। বাংলাদেশের ওই দুর্বলতার সুযোগে জিম্বাবুয়ে খুব ভালোমতোই এগিয়েছে। দিন শেষে তাদের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬। বাকি ৫ উইকেটে আর ১০০ রান হলে সেটা চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট। কারণ প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে অবশ্যই ব্যাটিং করতে হবে না হয় চাপে পড়ে যেতে হবে। উইকেটের ধারা অনুসারে যত দিন গড়াবে, তত টার্ন বাড়বে। শেষ ইনিংস তো বাংলাদেশকেই ব্যাটিং করতে হবে। জিম্বাবুয়ের স্পিন কিন্তু একেবারেই দুর্বল না। একটু চাপ দিলে সেটা কি সামলে উঠতে পারবে মাহমুদুল্লাহ অ্যান্ড গংরা?

প্রথম দিন শেষে অনেক সমীকরণের সামনে এখন সিলেট টেস্ট। দলে নেই সাকিব-তামিমের মতো খেলোয়াড়। বড় দুশ্চিন্তা সেখানে। যারা রয়েছেন তারাও অন্তত দেড় দিন ফিল্ডিং করে ভালো ব্যাটিং করবেন তারই বা কী গ্যারান্টি। অনেক প্রশ্ন এসে ভর করেছে।

এর আগে টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচে দুই দলেরই দু'জন করে চারজন খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নাম লেখিয়েছেন অলরাউন্ডার আরিফুল হক ও স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। দুই ওপেনার হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও ব্রায়ান চারি ইনিংসের ওপেন করে সতর্কতার সাথে। কিন্তু স্পিনার তাইজুলের বলে বোল্ড চারি দলীয় ৩৫ রানে। ব্রেন্ডন টেইলর নেমেই আউট তাইজুলের বলে। দলীয় ১০০ রানের আগে আরো এক ব্যাটসম্যান আউট। তিনি মাসাকাদজা। পেস বোলার রাহীর বলে আউট হন তিনি। পরে ক্রিজের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে চমৎকার ব্যাটিং করে যান শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পাওয়া শেন উইলিয়ামস।

দলীয় ১২৯ রানে সিকান্দার রাজা আউট হওয়ার পর সেঞ্চুরি থেকে যখন ২২ রান দূরে তখন মাহমুদুল্লাহর বলে আউট হন এ ব্যাটসম্যান। পরে পিটার মুর ও চাকাভা দিনের শেষভাগটা বেশ ভালো সাপোর্ট দেন। এতে দলীয় স্কোরটা চলে যায় ওই পর্যায়ে। জিম্বাবুয়ের স্কোর প্রথম দুই সেশনে ছিল যথাক্রমে ৮৫/২, ১৪৯/৪। শেষ সেশনে এক উইকেটের বিনিময়ে রান সংগ্রহ করেছে তারা ৮৭ রান। আসলে শেষ বিকেলে উইকেট টিকিয়ে রাখা বড্ড প্রয়োজন ছিল। সেটাতে সফল হয়েছে জিম্বাবুয়ে। আজ বাকি পাঁচ উইকেট নিয়ে প্লান করে মাঠে নামার সুযোগ তাদের। বোলারদের মধ্যে তাইজুল ২৭ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে দুটি। এ ছাড়া রাহী, অপু ও মাহমুদুল্লাহ নেন একটি করে।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ