ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আসামে পাঁচ বাঙালী হত্যা

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ০২ ১৩:০৯:৫৬
আসামে পাঁচ বাঙালী হত্যা

পুলিশ বলছে, নিহতদের নাম শ্যামলাল বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, সুবল দাস এবং ধনঞ্জয় নম:শূদ্র। স্থানীয় সূত্রগুলি অবশ্য আরও কয়েকজনের গুলিতে আহত হওয়ার কথা জানাচ্ছে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খেরবাড়ি নামের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা সামরিক পোশাক পরে সেখানে হাজির হয়েছিল। তারা শ্যামলাল বিশ্বাসের দোকানের সামনেই প্রথম গুলি চালায়। নিহত বাকি ব্যক্তিরা ওই দোকানের আশপাশেই ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানাচ্ছে, ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে অন্তত ছয়জন দুষ্কৃতিকারী দুটি দলে ভাগ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে।

মৃতদেহগুলি এখনও গ্রামেই রাখা রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে যারা ওই দূরবর্তী এলাকায় পৌঁছতে পেরেছেন, তারা বলছেন, নিহতদের পরিবার পরিজন নারী পুরুষরা এখনও দেহগুলির সামনে বসে কেঁদে চলেছেন।

রাজধানী গুয়াহাটি থেকে পুলিশের মহা নির্দেশক কুলধর শইকিয়া ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন।

আসামের বাঙালী সংগঠনগুলো মনে করছে উলফা (স্বাধীন গোষ্ঠী) এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জী হালনাগাদ করা এবং নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরেও যেসব বাংলাভাষী আসামে এসেছেন - বিশেষত বাংলাদেশ থেকে, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ইস্যুতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসমীয়া এবং বাঙালীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিলই।

অসমীয়া জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলো এর মধ্যে এ নিয়ে একটা বনধও যেমন করেছে, তেমনই বাঙালীরা নাগরিকত্বের দাবীতে গুয়াহাটিতে তাদের প্রস্তাবিত সমাবেশ করতে গেলে শারীরিক আঘাত করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

আজকের হত্যার ঘটনার পরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং পশ্চিবমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

আসামের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস বলছে তারা আগেই সরকারকে সাবধান করেছিল, যেভাবে মেরুকরণ করা হচ্ছে ভোটের রাজনীতির জন্য, তার ফলে সংঘাত বাঁধতে পারে। আজকের ঘটনায় সেটাই প্রমাণিত হল।

সারা আসাম বাঙালী ছাত্র যুব ফেডারেশন আগামীকাল ১২ ঘণ্টার জন্য তিনসুকিয়া বনধের ডাক দিয়েছে। শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলবে, যতক্ষণ না দুষ্কৃতিকারীদের ধরা যাবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে