ঢাকা, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

বন্ধু তুমি!

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ৩০ ১২:০৯:১৭
বন্ধু তুমি!

সার্জিও রামোস আর জেরার্ড পিকের সম্পর্কটা মাঠের ভেতরে যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক না কেন, আসলে তারা খুব ভালো বন্ধু। গতকাল ‘এল ক্লাসিকো’র সময়ও দুজনের বন্ধুত্বই সামনে চলে এল।

সর্বোচ্চ পর্যায়ে দুজনই খেলছেন বহু বছর ধরে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর রিয়াল জারাগোজায় থাকার চার মৌসুম বাদ দিলে আগে–পরে মিলিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে জেরার্ড পিকের সম্পর্ক প্রায় দেড় যুগের। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সার্জিও রামোসের সম্পর্ক ১৩ বছরের, দলের অধিনায়কও তিনি। এই দুজন স্পেন দলে অবশ্য একে অন্যের সতীর্থ। দুজন এক হয়ে স্পেনের রক্ষণভাগ সামলেছেন বহু বছর। দেশের হয়ে জিতেছেন দুটি ইউরো আর মহা আরাধ্য বিশ্বকাপ। জাতীয় দলের হরিহর আত্মা হলেও ক্লাব ফুটবলে একে অন্যের ‘শত্রু’ হয়ে যান। তবে পিকে-রামোস দুজনই ব্যক্তিগত পর্যায়ে খুব ভালো বন্ধু।

বন্ধু হলেও ক্লাব ফুটবলে যখন একে অন্যের মুখোমুখি হন, সেখানে কোনো ছাড় নেই। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। ক্লাসিকোর সময় পারলে কেবল একে অন্যের সঙ্গে হাতাহাতিটাই করতে বাকি রাখেন। তবে কাল ন্যু ক্যাম্পে বন্ধুত্বের প্রকাশটা না করে পারেননি পিকে। দর্শকেরা যখন রামোসকে লক্ষ্য করে গালির বন্যা বইয়ে দিচ্ছিল, তখন ক্লাব ভুলে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত তুলে বন্ধুকে গালি দিতে নিষেধ করেন পিকে।

স্বাভাবিকভাবেই রামোসকে বার্সেলোনার সমর্থকেরা দেখতে পারেন না। একই কথা খাটে পিকের ক্ষেত্রেও, রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকেরা সহ্যই করতে পারেন না তাঁকে। কাল ন্যু ক্যাম্পে সেই ক্ষোভের প্রকাশ করছিলেন বার্সা–সমর্থকেরা। জোরে জোরে দুয়ো দিয়ে রামোসের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করে গেছেন তাঁরা অবিরাম। গ্যালারির কোনো কোনো গ্রুপ তো অকথ্য গালিগালাজই করে যাচ্ছিল রিয়াল অধিনায়ককে।

আর এই ব্যাপারটাই পছন্দ হয়নি জেরার্ড পিকের। খেলা চলার সময়ে বার্সেলোনার দর্শকদের দিকে আঙুল তুলে এমন করতে নিষেধ করেন তিনি। চোখের সামনে বন্ধুর অপমান কীভাবে সহ্য করেন তিনি। হোক না বন্ধু প্রতিপক্ষের হয়ে খেলছেন।বন্ধুকে রামোস মনে মনে কি একটু ধন্যবাদও দেননি? দিয়েছেন হয়তো! কিন্তু এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যখন বার্সেলোনা নামবে, তখন পিকের প্রতি রিয়াল–সমর্থকদের আচরণ কেমন হয়।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ