ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

বিপিএলে বিদেশিদের দাম চড়া হওয়ার কারণ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ২৭ ১৬:৪১:২৭
বিপিএলে বিদেশিদের দাম চড়া হওয়ার কারণ

বড় তারকা আনলে বিপিএলের আকর্ষণ বাড়বে। তবে এটাও ঠিক খরচটাও হবে বেশি। গেইল-ডি ভিলিয়ার্স প্রতি ম্যাচে পেয়ে থাকেন ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এক ম্যাচ খেলেই তারা পেয়ে যাবেন ২৫ লাখ! আর পুরো টুর্নামেন্টে খেলালে ৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে পারিশ্রমিক। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আয়োজিত আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের চড়া মূল্য থাকে। ২০১৮ সালের আসরে নিলামে সবচেয়ে বেশি দাম (১২.৫ কোটি রুপি) ওঠেছিল বেন স্টোকসের। কিন্তু নিলামের বাইরে থাকা দেশি ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে ধরে রাখতে র‌্যায়াল চ্যালেঞ্জারর্স ব্যাঙ্গালুরুকে ১৭ কোটি রুপি খরচ করতে হয়েছে। ১৫ কোটি ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির আর রোহিত শর্মার দাম।

বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের দাম চোখে পড়ার মত ছিল না কখনও। এবারও ব্যক্তিক্রম এর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম উঠতে পারে মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাকিব আল হাসানের। অতীতে তাদের দাম ১ কোটি ছাড়ায়নি। সংখ্যাটা কোটির ঘরের নিচেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। আর যদি বাড়েও তবে সেটা কখনো গেইল-ডি ভিলিয়ার্সদের দামের ধারে কাছে যাবে না। অনেকের মাঝে এ নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও করার কিছু নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। কারণ আপিএলের দলগুলোর মত টাকা তাদের নেই। আর টুর্নামেন্টের অলংকারই যেহেতু বিদেশি খেলোয়াড়রা, তাদের পেছনেই সিংহভাগ খরচ করতে হয় দলগুলোকে।

এসব চিন্তা পেছনে ফেলে আগামীকালের প্লেয়ার ড্রাফটে মনোযোগ দেয়া যাক। এবার বিপিএল মাঠে গড়ানের কথা ছিল অক্টোবরে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ঘরের মাঠে পর পর দুটি সিরিজের কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জানুয়ারিতে। এই সময়ে আবার অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু হবে। একই সময়ে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হওয়ায় বিপিএলে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে সংশয়ই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু প্লেয়ার ড্রাফট তালিকা দেখে মনে হচ্ছে খেলোয়াড়ের কোনো ঘাটতি পড়বে না।

প্লেয়ার ড্রাফটের জন্য ৩৭৩ জন বিদেশী খেলোয়াড়ের নাম জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি (৮৬) ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের। পাকিস্তানের রয়েছেন ৭২ জন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৬, শ্রীলংকার আছেন ৫৫ জন। সেই তুলনায় আফগানিস্তান থেকে আসা ক্রিকেটারদের সংখ্যা কমই (২০)। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮, জিম্বাবুয়ের ১৫ এবং আয়ারল্যান্ডের রয়েছেন ১০ জন ক্রিকেটার।

সবশেষ ‘এফ’ গ্রুপেই রয়েছেন মোট ২০৪ জন বিদেশি ক্রিকেটার। ১৬৯ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে অন্য ছয়টি গ্রুপে। এর মধ্যে মাত্র ৩ জন স্থান পেয়েছেন ‘এ+’ ক্যাটাগরিতে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৫ জন এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ১১ জন। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১৫, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৫২ এবং ‘ই’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৮৩ জন ক্রিকেটার।

ইতোমধ্যেই ক্রিস গেইলকে দলে ভিড়িয়েছে রংপুর রাইডার্স। গত আসরের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যারিবীয় ওপেনার। শুধু তাই নয়, তারা নিয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও। তাদের সঙ্গে আসছেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলসও।

অন্য দল কেন পিছিয়ে থাকবে? রংপুরকে টেক্কা দিতে সিলেট সিক্সার্স নিয়ে আসছে সাবেক অজি সহাধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ অজি ওপেনার টি-টোয়েন্টির অন্যতম বড় পোস্টার বয়। ঘরোয়া আসরগুলোতে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তিনি। আইপিএল, বিগব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওয়ার্নার ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় তারকা।

অপরদিকে, কাইরন পোলার্ড ও সুনীল নারাইনের মত তারকাদের ধরে রেখেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। জস বাটলারকে ছেড়ে দিলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শোয়েব মালিককে রেখে দিয়েছে। গতবারের মতো এবারও লংকান দলপতি মাহেলা জয়াবর্ধনের অধীনেই খেলবে খুলনা। রাজশাহীকে স্বপ্ন দেখাতে আসছেন অভিজ্ঞ ল্যান্স ক্লুজনার। অর্থাৎ কেবল ভালোমানের খেলোয়াড়ই নয়, ভালোমানের কোচকেও গুরুত্ব দিচ্ছে দলগুলো।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ