ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

ছেলে ভাগ্যে ইমরুলের তিনে ৩

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ২৭ ০১:২৩:৫২
ছেলে ভাগ্যে ইমরুলের তিনে ৩

টুর্নামেন্টের মাঝপথে হুট করেই সৌম্য সরকারের সঙ্গে ইমরুলকে আরব আমিরাতে ডেকে নিলেন বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। ব্যস, অপ্রত্যাশিতভাবে ডাক পেয়ে সেই ইমরুল পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়ের দেখা।

তথ্যটা একশ ভাগ সত্য। দীর্ঘ এক দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইমরুল সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়ের দেখাটা পেয়ে গেছেন এবার। আমিরাতে উড়ে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের সুপার ফোরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি নেমেই অপরাজিত ৭২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন ইমরুল।

এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ এবং ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ইমরুলের ব্যাট অবশ্য হাসেনি। করেন মাত্র ৯ ও ২ রান।

তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা হার না মানা ৭২ রানের ইনিংসটি ঠিকই তাকে টিকিয়ে রাখে দলে। সেই সুযোগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সেই ইমরুল যেন আকাশে উড়ছেন।

সিরিজে তিন ম্যাচেই করলেন হাফ সেঞ্চুরি। যার দুটি হাফ সেঞ্চুরিকেই আবার রূপ দিয়েছেন সেঞ্চুরিতে। ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংসটিও খেলেছেন এই সিরজেই।

ইমরুলের হটাৎই এভাবে ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের দেখা পেয়ে যাওয়ার রহস্য? তবে কি ছেলে ভাগ্যই ঘুরিয়ে দিল ইমরুলের ভাগ্যের চাকা! হবে হয়তো। এশিয়া কাপ থেকে ফেরার পরপরই ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন জাতীয় দলের বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান।

সেই ছেলে ভাগ্যেই কিনা মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ইমরুল খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের আলো ঝলমলে ইনিংস। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করার পর ইমরুলও নবাগত ছেলেকেই স্মরণ করেন। নিজের ব্যাটটাকে ছেলে আর হাত দুটোকে দোলনা বানিয়ে দোল খাওয়ান!

এরপর চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। ওই ম্যাচেও সেঞ্চুরির সম্ভাবনাই জাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউট হন ৯০ রান করে।

আজ শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সেই আফসোসের আগুনে পুড়তে হয়নি মেহেরপুরের ছেলেকে। অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রেখে আজ ঠিকই পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি।

শেষ পর্যন্ত ১১২ বলে ২ ছক্কা ও ১০ চারে ইমরুল ১১৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। এর আগেই ৯৯ বলে ঠিক ১০০ রান করেন তিনি।

তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছেন সিরিজে আজই প্রথম মাঠে নামা সৌম্য সরকারও, ফিরে গেছেন ৯২ বলে ১১৭ রান করে।

তাদের দু’জনের ব্যাটে চড়ে জয়ের খুব কাছেই বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের ছুঁড়ে দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯.৩ ওভারে ২৭৪ রান।

এই সিরিজের আগেও ওয়ানডেতে দুটি সেঞ্চুরি আর ১৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল। কিন্তু, টানা তিন ম্যাচে তিন হাফ সেঞ্চুরি, এমন সাফল্য এই প্রথম। আর শুধু টানা তিন হাফ সেঞ্চুরি নয়, তার দুটোকেই রূপ দিয়েছেন সেঞ্চুরিতে। তিন ম্যাচে দুটো সেঞ্চুরি, একটি হাফ সেঞ্চুরি, সেটিও আবার সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংস। সত্যিই জিম্বাবুয়ের সিরিজটা রূপ কথার মতোই পার করলেন ইমরুল।

এই সিরিজের আগে ৭৩ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন দুটি। সেখানে এই সিরিজে তিন ম্যাচেই দুই সেঞ্চুরি। নিশ্চিতভাবেই এই সিরিজটা ইমরুলের বিশেষ একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে সারাজীবন। আহা! ইমরুল যদি এই অবিশ্বাস্য সাফল্যের ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারতেন!

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ