১৪ বছর আগের সেই ঘটনা ফিরিয়ে আনলো বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শেষ ৫ ওভার বল করে একটি চার বা ছক্কাও হজম করেননি এই তিন পেসার। তাদের করা শেষ ৩০ বলে একটি বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারিও হাঁকাতে না পারা জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা মিলে তুলেছেন মাত্র ১৯ রান।
সাধারণতঃ সীমিত ওভারের ক্রিকেটের শেষ ৫ ওভার মানেই ঝড়ো উইলোবাজি। ‘ডেড ওভারে’ বোলারদের ওপর দিয়ে বেশিরভাগ সময় ঝড় বয়ে যায়; কিন্তু আজ ঘটেছে উল্টো ঘটনা। যেখানে মাশরাফির করা ৪৬, সাইফউদ্দিনের করা ৪৮ ও ৫০ এবং মোস্তাফিজের করা ৪৭ ও ৪৯ ওভারে কোন বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা। উল্টো তাদের তিন উইকেটের পতন ঘটেছে।
৪৬ নম্বর ওভারে অধিনায়ক মাশরাফি দিয়েছেন মোটে ২ রান। সিকান্দার রাজার (৪৯) উইকেটও নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। ৪৭ নম্বর ওভারে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও ২ রানে পতন ঘটান এক উইকেটের। ফিরিয়ে দেন পিটার মুরকে। সাইফউদ্দিনের করা ৪৮ নম্বর ওভারে ওঠে ৪ রান (একটি ডাবলস, এক সিঙ্গেলস ও এক লেগবাই। সঙ্গে এক উইকেট)।
মোস্তাফিজের করা ৪৯ নম্বর ওভারে ২ রানের বেশি নিতে পারেননি জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা। আর ৫০ নম্বর ওভারে সাইফউদ্দিন দেন (১+১+২+১+১+২) = ৮ রান।
ঠিক প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ১৪ বছর আগে। এবার সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিরে আসলো কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠের স্মৃতি। ২০০৪ সালের ১৭ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশ ৭৬ রানে হারলেও শেষ ৫ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাপস বৈশ্য ও খালেদ মাহমুদ সুজন এবং বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক।
কাকতালীয়ভাবে তারাও পাকিস্তানের তিন বাঘা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ, ইউনুস খান এবং আব্দুল রজ্জাকের বিপক্ষে আজকের মত ১৯ রানই দিয়েছিলেন এবং তাদের বলে শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তানীরা একটি চার বা ছক্কাও হাঁকাতে পারেননি।
ওই ম্যাচে তাপস বৈশ্য করেছিলেন ৪৮ ও ৫০ নম্বর ওভার। দুই ওভারেই তিনি ৮ রান করে দিয়েছিলেন। যাতে কোন চার বা ছক্কা ছিল না। ৫০ নম্বর ওভারের ব্রেক আপ ছিল এমন (১+২+১+১+২+১) আর ৪৮ নম্বর ওভারে ৮ রান উঠেছিল এভাবে ২+২+১+২+১।
অন্যদিকে মোহাম্মদ রফিক করেছিলেন ৪৭ (১+১+১+১) ও ৪৯ নম্বর (৩+১) ওভার। বাঁ-হাতি স্পিনার রফিকের করা ওই দুই ওভারে পাকিস্তানিরা তুলেছিল (৪+৪)। এছাড়া মিডিয়াম পেসার খালেদ মাহমুদ সুজন ৪৬ নম্বর ওভারে দিয়েছিলেন ৬ রান (১+১+১+১+২+০)।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বুধবার দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ৫.৫ ওভারের আগে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের টানা ১২তম জয়।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ঢাকার মাঠে ১৪৪ রান করেন ইমরুল কায়েস। বুধবার চট্টগ্রামেও দুর্দান্ত খেলেছেন এ ওপেনার। ভালো খেলা সত্ত্বেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। মাত্র ১০ রানের জন্য ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করতে পারেননি কায়েস। শুধু কায়েসই নন, অসাধারণ খেলা সত্ত্বেও ১৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ওপেনার লিটন দাস।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ব্রান্ডন টেইলর। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের সৌজন্যে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ দল। উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে দলের জয়ের পথ সহজ করে দেন লিটন-কায়েস।
খেলা - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আছিয়ার শেষ স্বীকারোক্তি: আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- শেয়ারবাজারে কারসাজি: বিএসইসি'র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ নাম
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৩ মার্চ ২০২৫)
- আইপিএলে তাসকিনকে দলে নিবে কি না জানিয়ে দিলো লখনৌ
- শিশু আছিয়া ধ/র্ষণ ও হ/ত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে স্বীকারোক্তি
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট জানা গেল সত্যতা
- দুই কোটি নয় মুস্তাফিজকে দলে নিতে কলকাতাকে গুনতে হবে ৬.৫ কোটি রুপি
- মুস্তাফিজ নাকি তাসকিন আইপিএল খেলার জন্য কাকে এনওসি দিবে বিসিবি
- বাংলাদেশে জনপ্রতি ফিতরার হার ঘোষণা
- দ্য হান্ড্রেডে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার শেষ হলো নিলাম